আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা প্রদান।প্রকৃত ঘটনার নিউজ করায় ,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হামিদুল আজমের বাড়ীতে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে ও হত্যার হুমকি দেয় ।
এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, হিরোর বিচার না হলে লাগাতার কর্মসুচি ঘোষনা দেওয়া হয় ।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামের সাথে সরকারি স্কুলের শিক্ষক শহীদ মিনার ও ব্যামাগার রক্ষা কমিটির মতবিনিময় হয়।স্কুলের শিক্ষক ও ব্যামাগার রক্ষা কমিটির আহবায়ক নির্বাহী অফিসার কে জানান প্রাচীর নির্মান কাজের ঠিকাদার প্রাচীর নির্মান করতে গেলে ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো বাধা প্রদান করেন।এসময় উপস্থিত চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি স্কুলের শিক্ষক হাবিব বলেন ইতিপুর্বতো মাপজোক করে দিয়েছেন,সেই মাপ অনুযায়ি প্রাচীর করলে তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না,এ সময় হিরো হুকুম দিয়ে তার ভাই ও গুন্ডাপান্ডা দিয়ে শিক্ষক হাবিবকে মাথায় আঘাত করে রক্ত বের করে দেয়।কথা শুনে নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম ওসির সাথে দেখা করে পুলিশ নিয়ে শিক্ষকদের দাড়িয়ে থেকে প্রাচীর নির্মান করার হুকুম দেন।সে মোতাবেক সকলে প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি প্রধান শিক্ষক, ক্রীড়া শিক্ষক মিলে পুনঃরায় ঠিকাদারকে নিয়ে প্রাচীর নির্মান করতে গেলে হিরোর দলবল স্কুলের একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তেলে শারিরিক ভাবে লিঞ্চিত করে।এর কিছুক্ষন পর হিরোর বড় ভাই হাসান ও ছোট ভাই সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজমের বাড়ীতে লোহার রড, দেশিয় অস্রস্বস্র সহ হামলা করে সাংবাদিক আজমের প্রান নাশের হুমকি দেয়,চিৎকার করে বলে কোথায আজম,বের করে দেন না হলে বাড়ীঘর ভাংচুর করে দেব।এসময় আজমের ছোট ভাই হাজী আজাদ বেরিয়ে আসলে তাকে রড দিয়ে আঘাত করতে গেলে মাইক্রো ড্রাইভার গন বাধা দেয়।এ সময় তারা চিৎকার করতে করতে বলে আজমকে যেখানে পাব খুন করব।ঐ সময় সাংবাদিক হামিদুল আজম ওসির সাথে সাক্ষাত করছিলেন,খবর পেয়ে আজম ঘটনা স্থলে গিয়ে সকলকে জিজ্ঞাসা করলে মাইক্রো ড্রাইভার গন সব খুলে বলেন।তাদের কথা অনুযায়ি বাড়ীর লোকদের জবান বন্দি অনুযায়ি আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। ওসি মাসুদুর রহমান জানান আমি তদন্ত করে অবশ্যই বিষয়টি দেখব,এসময় তাকে অবহিত করা হয়,ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরোর বড় ভাই মোঃ হাসান এক সময়ের আন্ডার ওয়াল্ডের সক্রিয় সদস্য ছিল।তার পিতা মৃত রতন মেম্বার ছিল আন্ডার ওয়াল্ডের সদস্য, সেসময় কিছু দুর্নিতি করা ও সন্ত্রাসী লিডারের টাকা মেরে দেওয়াই সন্ত্রাসী বাহিনি প্রধান রতন মেম্বার কে হালসা বাজারে প্রকাশ্যে গুলি করার পর জবাই করে হত্যা করে ছিল বলে কথিত আছে।সে সময়ের সন্ত্রাসী মোঃ হাসান দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে এখন আবারও পুর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কায়দায় আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও সময়ের সমীকরন পত্রিকার আলমডাঙ্গা ব্যুরো প্রধান হামিদুল আজমের বাড়ীতে দিনের বেলায় অস্ত্র স্বস্ত্র সহ হামলা করে আজমকে হত্যা করতে চেয়েছিল।আলমডাঙ্গার সকল সাংবাদিক এহেন জঘন্য ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।তারা শুধু সাংবাদিক আজম না কলেজ রোডে অবস্থিত যুবদলের নেতা মুনের দোকানে হামলা করে ভাংচুর করে,বলে যায় মুনকে পেলে তাকেও হাড়গোড় ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠাব।ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালকের এই কর্মকান্ডে সরকারি স্কুলের শিক্ষক বৃন্দ,সাংবাদিক বৃন্দ,ও ছাত্রদল যুবদলের নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং দ্রুত দোষী ব্যাক্তিকে শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। পরে ছাত্র জনতা হিরোর গ্রেফতারের দাবীতে শহরে প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।