1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী গ্রেড সুরক্ষা কমিটির আয়োজনে আলোচনাসভা

খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪২৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী গ্রেড সুরক্ষা কমিটির আয়োজনে ২০১৮ সাল থেকে সারাদেশে সরকারিকৃত ৩৩৩ টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর বৈষম্যমুলকভাবে জারী করা “সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধি-২০১৮” এর সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়া দ্রুত ত্বরাম্বিত করা, প্রভাষক, ক্রীড়া শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, সহকারি লাইব্রেরিয়ান, প্রদর্শক, ল্যাব সহকারি ও অফিস সহায়কগণের অবনমনকৃত গ্রেড বাতিল করে বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত স্ব-স্ব গ্রেডে বেতন-ভাতা নির্ধারণ, বেসরকারি আমলের শতভাগ চাকুরিকাল সরকারি হিসাবে গণনা করা, স্থায়ীকরণ ত্বরাম্বিত করা, পদসোপান তৈরি, বঞ্চিত ৭ম গ্রেডধারী প্রভাষকগণের সহকারি অধ্যাপক হিসাবে ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত, বদলি এবং ক্যাডার মর্যাদা পুনর্বহালের ৮ দফা দাবিতে আজ শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর)সকাল ১০টায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ, বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহব্বায়ক মোঃ শামসুল আলম।

সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মোঃ সাজেদুর রহমান লিটু।

বক্তারা বলেন, ২০১৮ সাল থেকে সারাদেশে সরকারি কলেজবিহীন বিভিন্ন উপজেলায় একটি করে সর্বমোট ৩৩৩টি কলেজ সরকারি ঘোষনা করে। সরকার ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীগণের আত্তীকরণের জন্য “সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮” জারী করে। অথচ এ বিধি জারীর পূর্বে শিক্ষক-কর্মচারীগণ “আত্তীকরণ বিধিমালা-২০০০” এর মাধ্যমে আত্তীকৃত হতেন। এবং সেখানে শিক্ষকগণ (বি.সি.এস সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মর্যাদা ও কর্মচারীগণ স্বীয় সুবিধাদি পেতেন। অথচ দীর্ঘ যুগের নিয়ম ভেঙ্গে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকগণ তৎকালীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারগণের অনৈতিক পরামর্শে সরকারিকৃত শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ জারী করে। ফলে শিক্ষকগণের নন-ক্যাডারে প্রবর্তন, বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত স্ব-স্ব বেতন গ্রেডের অবনমন, বেসরকারি আমলের প্রায় সকল সুযোগ-সুবিধাকে রহিত করে প্রতিটা পদকে ব্লক পোষ্ট করে পদোন্নতি রোধ করে প্রাতিষ্ঠানিক অমর্যাদা ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন করে। এর ফলে একজন প্রভাষক তার চাকুরি জীবনের শুরুতে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে ৩০ বছর চাকুরীর শেষ মেয়াদ পর্যন্ত প্রভাষক পদেই থাকবেন।
বক্তারা আরো বলেন, এসব বৈষম্য নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েক দফা সভা-সেমিনার ও কর্মশালা করেও আশাতীত অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু সংখ্যাক শিক্ষক-কর্মচারী ইতোমধ্যে আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ সংগঠন অধিকার আদায়ে আইন-আদালত ও আন্দোলনের ভিন্নপথ পরিহার করে বৈষম্য বিরোধী সরকারের সুবিবেচিত মানবিক বিবেচনায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীগণের উপর বৈষম্যমুলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া “শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮” এর চলমান সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরাম্বিত করে উল্লেখিত দাবীসমুহ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যমুলকভাবে জারীকৃত আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’তে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও সহকারি অধ্যাপকগণের বেসরকারি আমলের নিজ নিজ বেতন গ্রেড ও মর্যাদা অপরিবর্তিত থাকলেও ৭ম গ্রেডধারী প্রভাষক, ক্রীড়া শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, সহকারি লাইব্রেরিয়ান, প্রদর্শক এবং ল্যাব সহকারি ও অফিস সহায়কগণের গ্রেডকে অবনমন করা হয়েছে যা অকল্পনীয়। এর ফলে দূর্মূল্যের এই বাজারে ৭ (সাত) হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতিমাসে বেসরকারি আমল থেকে ১৫-৭ হাজার টাকা বেতন কম আহরন করে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অথচ প্রতিষ্ঠান সরকারি হলে বেতন কমে এটা নজির বিহীন। একই বিধিতে কেউ পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পাবেন আবার কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এটা অমানবিক ও চরম বৈষম্যমুলক যা বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাংঘর্ষিক। বর্তমান সরকারের কাছে মানবিক দাবী, বৈষম্য নিরসনে সারাদেশে ২০১৮ বিধিতে সরকারিকৃত ৩৩৩ টি কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীগণের সার্বিক কল্যাণ সাধনে ৮ দফা বাস্তবায়নে জোর দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবিধার্তে সংগঠনের নামের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মতবিনিময় সভায় সারাদেশ থেকে আগত বিভাগীয় ও জেলা কমিটির প্রতিনিধিগণ মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel