ঘটনার বিবরণে জানাযায় কেরু এন্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এর ফরেন লিকার বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে তার গ্রামের বাড়ি বেগমপুর ইউনিয়নের শলুয়া গ্রামে তিল তিল করে গড়ে তোলেন গরুর খামার ও আমিষের চাহিদা মেটাতে শুরু করেন মাছচাষ।
এতে প্রথম দিকেই সে দেখেন সফলতার মুখ তার এই সফলতাকে সে সবার মধ্যে ভাগাভাগি করতে ও গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিহৎ পরিসরে
শুরু করে মাছ চাষ। তার মাছ ও গরুর খামারে কাজের ব্যবস্থা হয় এলাকার শতাধিক বেকারের। মামুন সবসময় পরোপকারী তিনি তার এলাকার
মানুষের বিপদ আপদে সব সময়
পাশে থাকতো বটবৃক্ষের মত। কিন্তু কথায় আছে যে উপকার করে সবাই তার ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগে ঠিক এমনটিই ঘটেছিল গত ৫ আগষ্ট থেকে ৭ আগষ্ট পর্যন্ত এক শ্রেনীর লুটেরা তার তিল তিল করে গড়ে তোলা গরুর খামারে ২৪ টি গরু, আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মাছের খাবার ও কয়েক কোটি টাকার বাওড়ের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এই রুপ দৃশ্য দেখে এই সৃষ্টিশীল মানুষটি হতবাগ হয়ে পরে পরবর্তীতে তিনি চুয়াডাঙ্গার সেনাবাহিনীর দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প প্রধানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনী বেগমপুর বাওড়ে এসে ঝোটিকা অভিযান চালান কিন্তু ততক্ষণে এই পরিশ্রমী মানুষের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে কয়েক কোটি টাকার গরু,মাছ ও মাছের খাবার লুট করে নিয়ে ছটকে পড়েছে দূর্বৃত্তরা। বাওড় ও গরুর খামার সম্পর্কে মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান আমি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে তিল তিল করে আমার এই খামার ও মাছ চাষ শুরু করি প্রথম থেকেই আমার সফলতা আসতে থাকে এজন্য আমি ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকা লোন নিয়ে বড় করে প্রোজেক্ট শুরু করি কিন্তু দূর্বৃত্তরা আমার সব কিছু লুট করে পথে বসিয়ে দিয়েছে আমি এখন কিভাবে ব্যাংক থেকে নেওয়া লোনের টাকা শোধ করবো এটা ভাবতে গিয়ে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ছি – আমি সংশৃষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা আমার এই
সম্পদ লুট করেছে তাদেরকে যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর ....