কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা লুটপাটের আখড়াখানায় পরিনত করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের কয়েকজন ব্যক্তি। রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে তারা নির্বাচনের নামে প্রহসন করে এক একজন চেয়ার দখল করে আছে। কথিত আছে কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এবং তার ভাই সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এর আশির্বাদপুষ্ট না হয়ে কেউ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোন পদ পদবি নিতে পারিনাই। এমন কি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় প্রবেশও করতে পারি নাই। জেলায় উল্লেখ করার মত কোন টুর্নামেন্ট নাই। নতুন কোন খেলোয়াড় তৈরী করতে ক্রীড়া সংস্থার ব্যক্তিবর্গের কোন উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে মন্তব্য করতে করেন একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। বর্তমান পরিষদের খেলাধুলা ও খেলোয়াড়দের উন্নয়ন ও উন্নতির দিকে নজর না থাকলেও নিজেদের পকেটের দিকে তীক্ষনজর ছিলো বলে জানাগেছে। এর সত্যতা হিসেবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুরে একাধিক সাঁতারু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য বয়ে আনে। এই উপজেলায় প্রচুর সাঁতারু তৈরী হতে থাকে। তারা খেলাধুলা কোটায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আনসার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী অর্জন করে। জুয়েল রানা, সবুরা খাতুন সহ একাধিক জাতীয় সাঁতারু তৈরী হতে থাকে অজপাড়াগাঁয়ের পুকুর, ডোবা, খাল-বিলে সাঁতার শিখে। কুষ্টিয়া সাঁতারু তৈরীর রাজধানী খ্যাতি অর্জন করে। এই অর্জনকে গতিশীল করতে সরকার এই জেলাতে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল তৈরী করতে সিদ্ধান্ত নেয়। সুইমিংপুলটি তৈরীতে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও আওয়ামীগের আশির্বাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের নামে কোন তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। সুইমিংপুলে সাঁতারুদের অবাধে সাঁতার করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি কথা ছিলো। কিন্তু ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কুষ্টিয়া সুইমিংপুল কে সুইমিং ক্লাব বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সুইমিং পুল টি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার আশির্বাদপুষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদের আইন অমান্য করে সুইমিং পুল টিকে সুইমিং ক্লাব বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকা পুরোটাই যাচ্ছে তাদের পকেটে যায় বলে বিশস্ত একাধিকসূত্রে জানাগেছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুই একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন,”সুইমিং পুলটি ক্লাব বানিয়ে সাধারন সাঁতারুদের কে সাঁতার থেকে বঞ্চিত করেছে নন্দী ও তার অনুসারী হাবিবুর রহমান বাপ্পি সহ কয়েকজন। এক ঘন্টা সাঁতার করলে ১০০ টাকা নির্ধারণ করে টিকিট দিয়ে সাঁতার করতে হয়। গরিব ও সাধারণ সাঁতারুদের জন্য প্রাকটিস করার কোন সুযোগ নেই। সুইমিং পুলটিও আইন সম্মত ভাবে চলছে না। এর আগে জেলা প্রশাসক খেকে সুইমিং পুলটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ কুমার নন্দী গ্রুপ পরিচালনা করেছে। এবার কোন প্রকার টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই একই গ্রুপ পরিচালনা করছে বলে তারা জানান।” শুধু সুইমিং পুল কে সুইমিং ক্লাব বানিয়ে ক্ষান্ত হওননি। সুইমিং পুলের নিচে গাড়ি পার্কিং এর জায়গায় রেস্টুরেন্ট বানিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছেন বলে ক্রীড়া সংস্থার একটি সূত্রে জানাগেছে। সূত্রটি জানায়,”কোন ক্রীড়া সংস্থার একটি ইট সংযোজন বা বিয়োজন করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন লাগে। সেখানে পার্কিং-এর জায়গায় বিশাল এক রেস্টুরেন্ট করে বাণিজ্য করছে সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার নন্দী গ্রুপ। আর এই দুর্নীতি করে গেছে স্থানীয় একটি অবৈধ প্রেসক্লাব এর ক্ষমতার বলে ” এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।