আলমডাঙ্গা হারদী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় অনুষ্টিত হয়েছে।গতকাল বিকেলে হারদি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু।প্রধান অতিথি বলেন, হারদির মাটি বিএনপির ঘাটি।আপনারা জানেন,হারদির মাটিতে বিএনপি ২০০১ সালে ভোট পেয়েছিল ১০ হাজার আর আওয়ামীলীগ পেয়েছিল ১৫’শ ভোট । হারদির মাটি বিএনপির ঘাঁটি। বিএনপির কিছু লোক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভয় দেখিয়েছে, জেলে দিয়েছে ও মানুষকে ঘুমাতে দেয়নি। আর তোমরা কয়জন ডাকাতি করছো। তোমাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। বিএনপি ১/২ বছর পর হয়ত নির্বাচনে আসবে। বেলগাছিতে (শুক্রবার) মার খেয়েছো, আজকেও আবার খাইবা। আজকের সফর সঙ্গীদের সামনে এসে দাঁড়াও। তোমরা বেশি উপদ্রব সৃষ্টি ও হাঙ্গামা করার চেষ্টা করো না। বিএনপি কোন দাঙ্গাবাজ করবে না। যদি তোমরা দাঙ্গাবাজ করতে যাও তবে তোমারে রক্ষা নাই।
আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জোহা মাধ্যমিক হাইস্কুল মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় হারদি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু এমন মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফের উদ্দেশ্যে বলেন, শরীফ তার লোকজন দিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করছে,মারধোর করছে।কিন্ত তাদের জেনে থাকা দরকার আওয়ামীলীগ একই ভাবে ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছ,তারা আজ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত।তারা মনে করছে আমরা ক্ষমতায় চলে গেছি,কিন্ত মনে রাখতে হবে দেশে অন্তর্বর্তি কালিন সরকার আছে,সামনে আজ হোক কাল হোক নির্বাচন হবে,তখন সকলকেই নির্বাচনে লাগবে।তারা যদি মনে করে আওয়ামীলীগের মত ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাবে,তাহলে তারা ভুল করছে।আমরা ত্যাগি বিএনপির কর্মিদের একত্রিত করে নির্বাচন ও সংগঠনকে শক্তিশালী করব। সে বিএনপির কিছু ছেলেদের নিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন গ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের কিছু ছেলেদের নিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে বেড়াচ্ছে।বিভিন্ন সন্ত্রাসি দলের সদস্যদের তার দলে ভিড়িয়েছে।জনগন তাদের পত্যাক্ষান করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম। সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিচ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিপ্লব, হারদি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দীন, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা: আলাউদ্দিন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক নাসির উদ্দীন, আরিফুল ইসলাম ডালিম, আতিয়ার রহমান চিনি, পৌর যুগ্ন-আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মঙ্গল, আনোয়ার, নজরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা, বোরহান উদ্দীন, আব্দুল্লাহ, মল্লিক, আব্দুর সালাম, হযরত আলী, সোয়েব আক্তার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তৌফিক খাঁন, যুগ্ন-আহবায়ক বাকি বিল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক সোয়েব আক্তার।