সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাধারণ মানুষকে অযথা হয়রানি, ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দি চাদাঁবাজি করে আসছে এমন অভিযোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
আজ ১৩ জুলাই (রবিবার) বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট বাজার মেইন রোডে তাহিরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। শেষে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝাড়ু হাতে নিয়ে নানা কুকর্ম তুলে ধরে স্লোগানে স্লোগানে বাদাঘাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যাক্তি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বৈদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার আজাদ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাজারের মেইন রোডে বিক্ষুদ্ধ জনতা এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় বক্তারা, তাহিরপুর সীমান্তের ভারতীয় বুঙ্গার কয়লা, চিনি, মাদক, গাঁজা ইয়াবার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের গডফাদার এই হাবিব সারোয়ার আজাদের নানা কুকর্মের ইতিহাস সাধারণ জনতার সামনে তুলে ধরেন।
বক্তরা বলেন, আজাদ সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে সীমান্তের কালো ব্যাবসায়ীদের দ্বারা একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহীনী গড়ে তুলে। এ বাহিনী নিয়ে সীমান্ত এলাকার কালো ব্যবসার বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করে। যা আজ অবধি বহাল রয়েছে। সাধারন মানুষ তার এসব কালোবাজারি ব্যাবসা ও অপকর্ম জানা স্বত্তেও ভয়ে মুখ খুলতে চাইনা।
তার আন্ডারগ্রাউন্ডের এসব অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
বক্তরা আরও বলেন, এসব মাদক ব্যবসা ও ভারতীয় কয়লা ও চিনির চোরাচালান করে গত কয়েক বছরে আজাদ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এছাড়াও হাবিব সারোয়ার আজাদ নিজেকে সাংবাদিক ও র্যাব,পুলিশ, বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার একান্ত সহযোগীদের নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচাঁর করাসহ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দফায় দফায় গণধৌলাইয়ের শিকার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালান ও শিশু বলৎকারসহ একাধিক মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয় “হাবিব সারোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার পুরানো ও মূর্তি ভাংচুর মামলাও রয়েছে। এব্যাপারে ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন, আব্দুল হক, নাঈম আহমেদ, কামরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই বলেন, মাদ, গাজাঁ, ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ সীমান্তের চোরাচালানের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদের অত্যাচারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ট হয়েপড়েছে, তার এইসব অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি করছি।
ব্যবসায়ী আব্দুল হক(৪৮) বলেন,হাবিব সারোয়ার আজাদ প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা করছে,তার কারণে এলাকার ছোট বড় সকলেই অতিষ্ট, আমরা তার দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
উল্লেখ, গতকাল ২০১৮ সালে ইয়াবা বিক্রি শেষে চরগাঁও লতারকিত্তা নামকস্থানে যাওয়ার পর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ৩৪৫পিছ ইয়াবাসহ হাবিব সারোয়ার আজাদকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় আজাদ মাতাল অবস্থায় এলাকার লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তাকে গণধৌলাই দেয়। খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই সাইদুর ও এএসআই পীযুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াবাসহ মাতাল অবস্থা তাকে গ্রেফতার করে। একই সালে পার্শ্ববর্তী বিন্নাকুলি বাজারে ইয়াবা বিক্রি করার সময় হাবিব সারোয়ার আজাদের ভাতিজা জুবায়ের শাহকে ৫০০পিছ ইয়াবাসহ র্যাব গ্রেফতার জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।