সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ২ গ্রুপের সংঘর্ষের সময় টেটা বিদ্ধ হয়ে মোঃ ছানোয়ার ফকির (৪০) নামের ১ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছে, আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ই জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর-বর্ণিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছানোয়ার ফকির ওই গ্রামের বক্স ফকিরের ছেলে, তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।
সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন ও উপ-পরিদর্শক এরশাদ উপস্থিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার চর-বর্ণিয়া গ্রামের আখের গ্রুপ ও সায়েম গ্রুপের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সায়েম গ্রুপের প্রধান সায়েম ফকির অভিযোগ করে বলেন, আখের একজন সন্ত্রাসী সে সহ তার গ্রুপের লোকজন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রি করে আসছিল। এই অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় তারা মাঝে মধ্যে আমাদের লোকজনের উপরে হামলা চালিয়ে আহত করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে মানুষজন গ্রামে থাকতে পারে না। আজ আখের ও মালেক মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাদের লোকজনের উপরে হামলা চালায়। এসময় বুকে টেটা বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আমাদের পক্ষের ছানোয়ারের মৃত্যু হয় ও আরো ৮-১০ জন আহত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, কিছুক্ষণ আগে আমি জানতে পারি যে সায়েম গ্রুপ ও আখের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর শুনেই আমি ঘটনাস্থলে আসি, ইতিমধ্যে থানা পুলিশ এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশের একটি দলকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আমরা এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আগামীকাল ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ই জুন এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনুস নামের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেসময় এই গ্রামে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়।
তারপর থেকেই চর বর্ণিয়া গ্রামের শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করেন।