চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন চা`রুলিয়া গ্রামস্থ মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৭) বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত ২৬ মে ২০২৪ তারিখ রাত অনুমানিক ১০ টা থেকে ২৭ মে ২০২৪ তারিখ সকাল অনুমানিক ৬ টার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা দামুড়হুদা থানাধীন চারুলিয়া গ্রামের দক্ষিন মাঠে বাদীর গভীর সেচ প্রকল্পের জমির পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলার হতে ০৩ (তিন) টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার (যার মূল্য আনুমানিক ২,০০,০০০/- টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং-১০, তারিখ-২৮ মে ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয় এবং তদন্তের ভার এসআই(নিঃ) মোঃ সোহরাব হোসেন এর উপর অপর্ণ করা হয়।
*ঘটনা-২*
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন পীরপুরকুল্লা গ্রামস্থ মোঃ আব্দুল কাদের (৬৩) বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত ০৫ জুন ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ টা থেকে ৬ জুন ২০২৪ তারিখ সকাল অনুমানিক ৬টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর/চোররা দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা মৌজাস্থ গালকাটি মাঠে বাদীর নিজ জমি থেকে গভীর সেচ প্রকল্পের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পিলারের ০৩ (তিন) টি ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল (যাহার মোট আনুমানিক মূল্য ১,৯৫,০০০/- টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-০৬ জুন ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয় এবং তদন্তের ভার এসআই(নিঃ) মোঃ হারুন উর রশীদ এর উপর অপর্ণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা মহোদয় ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামী গ্রেফতারের জন্য কিছু কৌশল দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসারদের নির্দেশনা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জাকিয়া সুলতানা, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল), চুয়াডাঙ্গার তত্ত্বাবধানে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর কবীর এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ হারুন উর রশীদ ও এসআই (নিঃ) মোঃ সোহরাব হোসেন নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে ১২ জুন ২০২৪ তারিখ বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে দামুড়হুদা থানা এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত আসামী ১। আজগর আলী কে গ্রেফতার করে। আসামীর দেওয়া স্বীকারোক্তি পর্যালোচনাকরে তার সহযোগী আসামী ২। সেলিম ৩। বাবু ও ৪। রফিকুল ইসলাম দামুড়হুদা মডেল থানাধীন মুক্তারপুর গ্রামে ট্রান্সফরমার চুরির উদ্দেশ্যে কার্পাসডাঙ্গায় সমবেত হলে তাদেরকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণসহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ৫। মোঃ রঞ্জু ও ৫। সোহেল দ্বয়’কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক পুনরায় দামুড়হুদা থানা এলাকায় অভিযান করে আসামী ৭। নায়েব আলী’কে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ট্রান্সফরমারের মধ্যে থাকা তামার তার/কয়েল চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে। কুষ্টিয়া থেকে পরবর্তীতে ঢাকায় বিক্রয় করে। উক্ত তামার তার/কয়েল রিফেয়ারিং করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ফ্যানসহ বিভিন্ন তামার জিনিস তৈরি হয়। একটি ট্রান্সফরমারের মূল্য অনুমান-৬৭,০০০/-টাকা। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে (সাইজ অনুযায়ী) প্রায় ১৫লিটার তেল এবং ৬/৭কেজি তামার তার থাকে। মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলি যাচাই-বাছাই অব্যহত আছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
*গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃ*
১। আজগর আলী (৩৫), পিতা-মৃত আজমত আলী, মাতা-মোছাঃ পুতুল, সাং-শিবনগর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা বর্তমান ঠিকানা শশুর মৃত হয়রত আলী সাং হুদাপাড়া থানা দামুড়হুদা জেলা চুয়াডাঙ্গা।
২।সেলিম(৩৫), পিতা-মোঃ হায়েত আলী, মাতা-মোছাঃ কোহিনুর খাতুন, সাং- তাজপুর, থানা- দৌলতপুর, জেলা- কুষ্টিয়া
৩।বাবু (৫৫),পিতা-মৃত সোরামত আলী, মাতা-মোছাঃ আফেজান, সাং-বানিয়াপাড়া বারাদী,থানা-কুমারখালী, জেলা -কুষ্টিয়া
৪।রফিকুল ইসলাম (৩৭),পিতা-মৃত আহ রশিদ বেপারী, মাতা-মৃত সুন্দরী, সাং-শ্যামপুর, থানা-গুরুদাসপুর, জেলা -নাটের
৫। রঞ্জু আহমেদ (৪২), পিতা- মৃত আঃ কাদের, মাতা- মোছাঃ মঞ্জু খাতুন, সাং-পারখাদা উত্তরপাড়া, থানা-কুষ্টিয়া (স্ত্রী-রেখা ১৩,১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড কমিশনার কুষ্টিয়া পৌরসভা)।
৬। সোহেল (৩২), পিতা-আসলাম উদ্দীন (কুষ্টিয়া বড়বাজার মালিক সমিতির সহসভাপতি ও বস্তা মার্কেট সমিতির সভাপতি), মাতা- মোছাঃ সালেহা খাতুন, সাং-বারাদী, থানা- কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া
৭। নায়েব আলী (২৬),পিতা-মোঃ আবুল হোসেন,মাতা-মৃত শরিফা খাতুন,গ্রাম- হুদাপাড়া,থানা- দামুড়হুদা,জেলা চুয়াডাঙ্গা।
*উদ্ধারকৃত চোরাই আলামতের বর্ণনাঃ*
১। ট্রান্সফরমার ট্রাংকের ভিতরের তামার কয়েল-১২ কেজি
*উদ্ধারকৃত চোরাই কাজে ব্যবহৃত উপকরণের বর্ণনাঃ*
১।প্লাস-০১ টি
২। স্ক্রু-ড্রাইভার- ০১টি
৩। সেলাই ডাল-০১টি
৪। ইসপোক-০১টি
৫। হ্যাক-স ব্লেট- ০৯টি
৬। সেলাই রেঞ্চ- ০৫টি
৭। হ্যাক-স করাতের ফ্রেম-০২টি
৮। লোহার রড – ০৩টি
৯। টর্চ লাইট- ০১টি
১০। রশি- ৩০ হাত
১১। সাইকেলের টিউব-০১টি
১২। পাটের সুতালী- ৩০০ গ্রাম
*উদ্ধারকৃত চুরির সময় ফেলে যাওয়া আলামতের বর্ণনাঃ*
১। ট্রান্সফরমার ট্রাংক/বডি- ০৬(ছয়)টি।
২। ট্রান্সফমারের ট্রাকের কোর-১২(বার)কেজি।
৩। ট্রান্সফমারের ট্রাংকের ঢাকনা-০৬(ছয়)টি।
এ জাতীয় আরো খবর ....