পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গার সাপ্তাহিক পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার হাটে প্রচুর কোরবানির পশু দেখা গেছে। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও হাটে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। তাঁদের অভিযোগ, এবার পশুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি দেখা গেছে।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, সকালে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, নছিমন-ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহনে গরু-মহিষ নিয়ে হাটে আসছেন বিক্রেতারা। বেলা দুইটার মধ্যে কয়েক হাজার গরু-মহিষ দিয়ে হাট ভরে গেছে। কিন্তু এসব পশুর কেনাবেচা কম হচ্ছে। যেটুকু কেনাবেচা হচ্ছে, এর মধ্যে ক্রেতাদের নজর ছোট গরুর দিকেই। আবার কয়েকজন মিলে একটি মহিষ কিংবা গরু কিনছেন, এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।
পাশ্ববর্তী উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের রহমান মিয়া নামের এক ব্যাপারী বলেন, ‘সকালে পাঁচটা গরু নিয়া আইছি। কিছুক্ষণ আগে ছোট একটা গরু বিক্রি করছি এক লাখ পনেরো হাজার টাকায়। বাকিগুলো মনে হয় বেছতে ফারুম না।’
ক্রেতার বিপরীতে বিক্রেতারা বলছেন, এবার পশুর বাজার চড়া। আজগর আলী (৫৫) নামের এক ক্রেতা দৈনিক আন্দোলনের বাজারকে বলেন, ‘ এই ভাপসা গরমের মধ্যে হাটে আইছি, ঘুরে ঘুরে গরুর দাম দেখতেছি। মনে হচ্ছে দাম চড়া। বাড়িতে গরু রাখার ব্যবস্থা নেই। তাই কটাদিন পরই কিনব। এর মধ্যে দামও কমতে পারে।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পুরোনো একটি সাপ্তাহিক পশুর হাট আছে। এ ছাড়া উপজেলায় আরো তিনটি ইউনিয়নে তিনটি সাপ্তাহিক পশুর হাট রয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে পশুর হাট বসছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....