1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেলা বিএনপির সভাপতির ষড়যন্ত্রের শিকার  যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন  সিলেটের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান শ্রী শ্রী শচীমাতা স্মৃতি তীর্থধামে  সংবাদ সম্মেলন লক্ষিপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরন শেষে ১১ জন স্বেচ্ছাসেবকে আলমডাঙ্গায় সংবর্ধনা  বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া হবে না: মাওলানা রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন  মৌলভীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে  নগদ অর্থ বিতরণ বন্যাদুর্গতদের পাশে জাকের পার্টি সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি-সচিবসহ ৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা এনায়েতপুরে ১৩ পুলিশ হত্যার ঘটনায় মামলা, আ.লীগ নেতাসহ আসামি ৬ হাজার মৌলভীবাজারে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ 

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে চলছে হয়রানি ও ঘুষ বানিজ্য

এস,এইচ,শাহী রাজশাহী।
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
  • ১৪০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

 

রাজশাহীর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে নামে চলে দূর্নীতি ও
সরকারি বিধিবিধান অমান্য করে ঘুষ বানিজ্যের মেলা। অনুসন্ধানে জানাযায় পাসপোর্ট অফিসে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রত্যেকদিন অন্তত ১৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত পাসপোর্ট ফরম (ফাইল) পুরন  হয়ে পাসপোর্ট ফরম দাতা ছাড়া   তা দালাদের মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিসে আসে এবং এই ফরমগুলো চেনের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফরম প্রতি একহাজার (১০০০)টাকার বিনিময়ে কোন যাছাই বাছাই ছাড়া কায্যকারী সীল সাক্ষর দিয়ে গ্রহন করে থাকেন এবং দুপুরে লাঞ্চ বিরতির পরে দলে দলে পাসপোর্ট ফরম দাতারা এসে (ভিআইপি) ভাবে ছবি ও ফিঙ্গার দিয়ে চলে যান।

বর্তমানে এই দুর্নীতির মুল হোতা অফিস সহকারী মোঃ আরমান এবং তার প্রধান সহযোগী আনসার সদস্য তাদের আনসারী কর্তব্য পালন বাদদিয়ে সবসময় পাসপোর্ট ফরম জমা দেয়া ব্যক্তিদের সাথে কথপোকথন বলে  চেনের মাধ্যমে জমা দেওয়ার উৎসাহিত করেন।
বর্তমানে রাজশাহী পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের অফিস সহকারী মো :আরমান, পাসপোর্টের  প্রত্যেক দালালদের সাথে খুবই লিয়াজু ভাবে চলে তাদের সাথে দুর্নীতির সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

এ-বিষয়ক অনুসন্ধানে জানতে পারি,
এস আর এ টেলিকম অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করে, সেখান থেকে ফরম গুলো পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অফিস সহকারী মো: আরমানের কাছে (১০০০) এক হাজার টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট  ফরমদাতা ছাড়াই যাচাইকারী সীল সাক্ষা করে আবার এস আর এ টেলিকমে আসে এবং দুপুরের পরে পাসপোর্ট ফরমদাতা সেই ফরম নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে ছবি ও ফিঙ্গার দিয়ে পাসপোর্টের রিসিভ কপি নিয়ে চলেযান,পরিশেষে এস আর এ টেলিকমে মোট কয়টি চেনের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফরম যাচাই করা হয়েছে তা সন্ধ্যার পরে পাসপোর্ট ফরম প্রতি (১০০০) এক হাজার  টাকা করে হিসাব নিকাশে যা হয় তা রফাদফা করেন এস আর টেলিকম ।
এছাড়াও রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে হ্যালো গোদাগাড়ী নামক প্রতিষ্ঠানের মো: ফারুক এবং বিসমিল্লাহ টেলিকম নামক প্রতিষ্ঠান থেকে মো: জুয়েল  প্রত্যেকদিন (২৫-৩০) পাসপোর্ট ফরম পূরণ করে চেনের মাধ্যমে জমা করেন।

এদিকে রাজশাহীর বর্নালী মোড় থেকে মো: নূরু দালাল প্রতিদিন (১৫-২০) টি পাসপোর্ট ফরম চেনের মাধ্যমে জমা দেন,ফরাশ মো: আজাদের হাতে।

মোহনপুরের দুই গ্রুপ থেকে মোট পাসপোর্ট ফরম  আসে প্রেত্যেকদিন অন্তত ২০ কপি করে,

বাঘা থেকে প্রত্যেকদিন (১৫-২০)কপি করে দালাল মো: সবুজের মাধ্যমে  পাসপোর্ট ফরম জমা করেন পাসপোর্ট অফিস সহকারী মো: আরমান এর কাছে,
রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে (১০-১৫)টা ফাইল আসে পিয়ন মো: আমিনুলের কাছে।
রাজশাহীর বাঘা মীরগঞ্জ থেকে মো: টুটুলের মাধ্যমে (১৫-২০) টা ফাইলও আসে  পিয়ন আমিনুলের কাছে।

রাজশাহীর  বাঘমারা থেকে প্রত্যকদিন (২০-২৫)টা  ফাইল এসে চেনের মাধ্যমে জমা করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
অবশেষে অনুসন্ধানে জরিপ করে দেখাযায় রাজশাহীর প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে দিনপ্রতি (১৮০-২০০) টা পাসপোর্ট  ফাইল চেনের মাধ্যমে জমা করে থাকেন। এতে বোঝাযায় দিনপ্রতি ২ লক্ষধিক টাকা ঘুষ বানিজ্য শুধু চেনের মাধ্যমে করেন রাজশাহীর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দরা। তবে আরও দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের দিক রয়েছে, পরবর্তীতে তা প্রকাশ করা হবে।

এছাড়াও দেখাযায়  আনসার সদস্য তাদের কর্তব্য পালন বাদ  পাসপোর্টের ফরম (ফাইল) নিয়ে যাচাই কেন্দ্র গিয়ে ফরম প্রদানকারীকে চেনের মাধ্যমে ফরম জমা দেওয়ার উৎসাহিত  প্রদান করেন টাকার বিনিময়ে তবে এদের ইন্ধন দাতা অফিস সহকারী মো: আরমান।
প্রত্যেকদিন সর্বশেষ হিসাবের দায়িত্ব পালন করে সমাপ্ত করেন অফিস সহকারী মো: আরমান। বর্তমানে পাসপোর্ট  অফিসের সকল দূর্নীতির মূল হোতা অফিস সহকারী মো: আরমান।
এখানে ক্লিয়ারলি বোঝা যায় পাসপোর্ট করতে আসা লাইনে দাঁড়িনো ব্যক্তিদের ভোগান্তিতে ফেলার কারণ হচ্ছে যেন তারা কোন ভোগান্তি ছাড়া চেনের মাধ্যমে একহাজার  (১০০০) টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফরম জমা দেন আর এইসব পাসপোর্ট ফাইল চেনের মাধ্যমে জমা দেয়ার উৎসাহিত করেন আনসার সদস্যরা তবে এদের মধ্যে একজন আনসার সদস্য রঞ্জু সঠিক ভাবে তার দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে এই সকল দুর্নীতি পরিচালনা কারি অফিস সহকারি আরমান।
অফিস সহকারী আরমানের সাথে  এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমি সরকারের চাকরি করি, আমি পার্টি করি, আমি কোন সাংবাদিককে কিছু মনে করি না।
এছাড়া বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নুরুল আনোয়ার এর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলে  তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাকে whatsapp এর মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে জানালেও তিনি এই বিষয়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনেনি।

অপরদিকে পাসপোর্ট অফিসের  উপ-পরিচালক রোজী খন্দকার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel