প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টার মামলায় দুজনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোহাম্মদ জাকির হাসান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দেউলিয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের এনামুল হক ও হামিরকুৎসা মৃধাপাড়া গ্রামের ছানোয়ারা খাতুন ওরফে ছানু। তাদের মধ্যে ছানোয়ারা পলাতক। আর রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এনামুল। রায় ঘোষণার পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল এনামুল ও ছানোয়ারা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন ওসি মীর্জা আবদুস সালামের কক্ষে গিয়ে তাকে জানান, অচিরেই জেলা পুলিশে বাবুর্চি, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ আসছে। এতে তাদের (এনামুল ও ছানোয়ারা) পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে হবে।
এ সময় তারা মুঠোফোনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাকে জানান, ছানোয়ারা ও এনামুলের কথামতো নিয়োগ না দিলে ওসি ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওসি আবদুস সালাম প্রতারকদের প্রতারণার চেষ্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে ছানোয়ারা ও এনামুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তারা প্রতারণার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই বছরের ৩ মার্চ তারা একইভাবে কারারক্ষী নিয়োগের সময় তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক ও রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শকের সঙ্গেও প্রতারণার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করলেন। সেই সঙ্গে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।