নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত জেরে মনোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক মিষ্টির কারিগড়কে কুপিয়ে হত্যার হত্যা করা হয়েছে। ২৩শে মে বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৫ টায় গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী ব্রিজ ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ার হোসেন ওই এলাকার মোঃ আব্দুস সালাম মোল্লা’র ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে আটক করেছে।
নিহত মনোয়ার হোসেনের ভাই আব্দুল মোমিন (২২) জানায়,‘কুমারখালী এলাকার প্রতিবেশী হায়দার হোসেন (২২), তার বাবা আশরাফ হোসেন (৪৮) ও মা হাসনা বেগম (৪০) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হায়দার, আশরাফ ও হাসনা বেগম তার ভাই নিহত মনোয়ার হোসেনের পথে গতিরোধ করে। একপর্যায়ে আশপাশে মানুষজন না থাকায় সেই সুযোগে বাড়ি থেকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার ভাইকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে জখম করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে তিনি এগিয়ে যান ভাইয়ের কাছে। সেখানে গেলে তার ওপরও অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এরপর স্থানীয় এক যবুকের সহযোগিতায় গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ভাইকে মৃতু ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাগর হোসেন জানান, ‘তিনি বাড়িতে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই চিৎকার শুনতে পান। তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন মনোয়ার হোসেন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং তার ভাই চিৎকার করছে। তখন একটি সিএনজি যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মোঃ রাজিব হোসেন বলেন, ‘ মনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত হার্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আঘাত হার্টে পৌছানো এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জল হোসেন জানান,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আশরাফ হোসেন ও হাসনা বেগম নামের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হায়দার হোসেনকেও গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। মরদেহটি নাটোর মর্গে প্রেরণ করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।