ডেক্স নিউজ: রাজশাহীতে জেলা-উপজেলা পর্যারের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর সংস্কারের সাথে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করে মাটি বানিজ্য চলছে অপরদিকে ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির মল্লিকপুর গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা।
পুকুর সংস্কারের মাটি বিক্রি করার কারনে পাকা রাস্তা মাটির রাস্তায় পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পুকুরটি সংস্কার করছেন মল্লিক পুর গ্রামের হাজী ওমর আলী। তিনি প্রতারণা করে পুরাতন পুকুর সংস্কারের আবেদন করে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করছেন। হাজির এমন প্রতারণার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু হাজি প্রভাব শালী হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌরসভার শেষ সীমানা বুরুজ ঘাট থেকে মোহনপুর যাওয়ার পাকা রাস্তার মাঝে বাগবাজারের পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণে বিশাল আয়তনের দিঘি রয়েছে। দিঘির মাঝে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। দিঘির মাঝে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। দিঘির মাটি হেরো ট্র্যাক্টরে করে মাটি বহন করার কারনে পাকা রাস্তায় মাটির স্তুপ পড়ে রয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।
রাস্তার উপরে রয়েছে ব্রীজ। ব্রীজ দিয়ে কয়েক গ্রামের পানি বের হয়। সেই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সামান্য পরিমান বৃষ্টি হলে কয়েক গ্রামে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন তারা জানান, হাজি প্রতারণা করে পুকুর পুন সংস্কার করার আবেদন করেন। কিন্তু পুকুরের ভিতরে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। সেটা গোপন করেন হাজি ওমর। শুধু তাই না পুকুরের কাদা মাটি হেরো ট্যাক্টরে করে পাকা রাস্তা দিয়ে বহন করার কারনে ব্যাপক ভাবে মাটি পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হয়, একারনে রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও দেদারসে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নিজের পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে অনুমোদন নিতে হয়, মাটি বাহিরে দেয়া যাবেনা মর্মে অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিসের বিনিময়ে খাস পুকুর সংস্কার করতে দিয়েছে প্রশাসন বুঝতে হবে। টাকা থাকলে সবই হয়।
পুকুর পাড়ে ছিলেন হাজি ওমর আলীর ছেলে সুজন তিনি জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। আপনাদের পুকুরে খাস পুকুর রয়েছে সেটা কিভাবে সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা হয়নি। তবে আমাদের পুকুরের মধ্যে খাস পুকুর রয়েছে সংস্কার তো করতেই হবে। মাটি বিক্রির অনুমতি নেই কিভাবে বিক্রি করলেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাহলে কৃষি জমিতে কিভাবে পুকুর হয়, এদেশে টাকা থাকলে সবই হয় বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।
সেখান থেকেই মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাসকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি দেয়া আছে। কিন্তু কোনভাবেই মাটি বের করা যাবেনা। মাটিও বের করেছে এবং ব্রীজের মুখ বন্ধ করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব করার কোন সুযোগ নেই। রবিবার অফিসে গিয়ে অনুমতির কাগজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুকুরের ভিতরে খাস পুকুরও রয়েছে সেটা সংস্কার করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা যাবে না, এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।