নড়াইলে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা বাড়িঘরসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ে লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এসময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় উপজেলার গন্ডব, আড়পাড়া, কাশিপুর, শালনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামের একাধিক টিনের বাড়ির চালার ওপর গাছ উপড়ে পরে ঘরের চালা ভেঙে যায় এবং ঝড়ো বাতাসে তা খুলে ধুমড়ে মুচকে পড়ে আছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্থানীয় চা দোকানিদের।
শালনগর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের রেখা বেগম জানান, তাদের গ্রামে ঘর, গাছ-পালা ভেঙে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া একই ইউনিয়নের ধলু মিয়ার মিয়ার ঘর ধসে পড়ে এবং অনেক কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।
গন্ডব গ্রামের আলী আগবর জানান, তাদের বাড়ির পাশে রাস্তায় আম গাছটি ভেঙে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎতার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এছাড়াও গ্রামের বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের চালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গাছের আম, কাঁঠালসহ লিচু সহ কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ছে। সড়কের ওপর গাছ উপরে পড়ে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, গত কাল বিকালের কাল বৈশাখী ঝড়ে ইউনিয়নের অর্থ শতাধিক বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি ক্ষতি গ্রস্থ পরিবার গুলোর খোজ খবর নিয়েছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইসরাফিল হোসেন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।