খ্যাত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার শরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন নামের একটি সরকারি ক্যাপিটেশন ভুক্ত এতিমখানার পরিচালক শামসুদ্দিন ওরফে শমেস ডাক্তার। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন না করেও বনে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। খুব চতুরতার সাথে এ পরিচয় কে পূজি করে মানুষের সহানুভূতি কে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন এতিমদের নামে আসা অর্থ। সব মহলেই তিনি জাতির সূর্য সন্তান (বীর মুক্তিযোদ্ধা) হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন যা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জা জনক। আদালতের সহানুভূতি কে কাজে লাগাতে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের নামে করা একটি মামলার এজাহারেও উল্লেখ করা হয়েছে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে বাঘা উপজেলার সরকারি ভাতা ভোগী মুক্তি যোদ্ধা, সরকারি ভাতার জন্য আবেদন কৃত মুক্তি যোদ্ধা এমনকি ভূয়া মুক্তি যোদ্ধার তালিকায়ও তার কোন নাম কিংবা কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী বলেন, শামসুদ্দিন নামে মুক্তি যোদ্ধার তালিকায় কোন নাম নেই। তিনি যুদ্ধ করেছেন কিনা তাও জানিনা।
বাঘা উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রয়েজ উদ্দিন জানান, সাদা মনের মানুষ যে এতো কালো কাজ করছে প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতি করে মুক্তিযুদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে। সে কোন মুক্তিযুদ্ধা নয়। এটা আমাদের প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য খুবই লজ্জা জনক।
উল্লেখ্য, সরের হাট কল্যানী শিশু সদন নামের এতিমখানাটি বছরে দুই কিস্তিতে সরকারি ক্যাপিটেশ পান ২৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা টাকা দিয়ে নামে বে-নাম কিনছে সম্পত্তি। অনিয়মের প্রতিবাদে করছেন মামলা। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক সমাজ সেবা কর্মকর্তার নামেও জামায়াত শিবির তকমা দিয়েও কেছিলেন মামলা। এ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দূর্নিতী নিয়ে তথ্য বহুল ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পরেও জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার সম্পাদক সহ ৩ সাংবাদিকের নামেও রাজশাহীর আমলি আদালতে করেছেন মামলা। প্রতিষ্ঠান পরিচালক শামসুদ্দিনের ছোট ছেলে শাহদোলা আল মনসুর বাদি হয়ে করা মামলার এজাহারেও স্পস্ট লিখেছেন বাদীর পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।