1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখতে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি প্রদান রায়পুর, হাসাদহ এবং  কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার আলমডাঙ্গায় নবাগত ওসির সাথে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্টিত নড়াইলে  পূজা মন্দিরে নগত অর্থ সহায়তা প্রদান করলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  এনায়েতপুরে আই সি এল স্কুলে রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত-২০২৪ শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন পূজামন্ডপে কঠোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  সুনামগঞ্জে মডেল জামে মসজিদের ইমামের অপসারণ দাবীতে মুসল্লীয়ানদের মধ্যে উত্তেজনা মৌলভীবাজারে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ডাঃ রফিকুল হক বাবলুকে স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের অধিন ডেন্টাল কাউন্সিলের সদস্য মনোনিত  ডাবলু সরকার গ্রেফতার

ইতিহাসের নির্মম সাক্ষী খালিশপুরের নীলকুঠি

মোঃ আঃ হাকিম  মহেশপুর,  ঝিনাইদহ থেকে:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ৪৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
ব্রিটিশ রাজত্বকালে ইংরেজরা এদেশে নীল চাষ করার জন্য যেসব কুঠি গড়ে তুলেছিলেন সেসব কুঠিবাড়িই নীলকুঠি নামে পরিচিত। নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এ নদ দিয়েই নৌকায় করে আসতো ইংরেজরা। তারা ওই কুঠিতে থাকতো আর কৃষকদের ওপর অত্যাচার করতো। আঠারো শতকের শুরুর দিকে কোটচাঁদপুর দুতিয়ারকুঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন মহেশপুরের খালিশপুরে কপোতাক্ষ নদের তীরে এ কুঠিটি স্থাপন করেন।
১২ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়।চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি এ ভবনটি।কুঠির নিচ তলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায়   আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন।বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০- ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত।এলাকার কৃষকের মাধ্যমে নীল চাষ করে পাঠানো হতো ।
ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীরবিভিন্ন দেশে। দিনের পর দিন অত্যাচারে মাত্রা বাড়াতে থাকে ইংরেজ নীলকরদের।যারা নীলচাষ করতেন না তাদের এ কুঠিতে এনে করা হতো নির্যাতন।কুঠির সামনে থাকা গাছে বেঁধে চলত অমানুষিক নির্যাতন।গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো কুঠির কক্ষগুলোয়।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মতো এ নীলকুঠিটিও রেখে চলে যান নীলকররা।  পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ১৪ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এটি একটি দ্বিতল ভবন। ১৮১০-১৮৫৮ সাল পযর্ন্ত এটি ছিল কৃষক নির্যাতন কেন্দ্র। ১৮৬৫ সালে নীল বিদ্রোহ সংগঠিত হলে অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান।
পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদার জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel