রাজশাহী জেলার বাঘায় পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত স্বামী এরশাদ আলী (৪৫) মৃত্যু বরণ করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)রাত ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার চকছাতারী গ্রামের মৃত জবুর সর্দারের ছেলে। পেশায় সে চক-ছাতারি জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক একটি বিদ্যালয় এর শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় চার বছর আগে এরশাদ আলী পার্শ্ববর্তী পাকুরিয়া গ্রামের হাশেম মুন্নার মেয়ে শাহানার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।নিজ বাড়িতে পানির সংকট থাকায় এদিন দুপুরে (২৩ এপ্রিল) এরশাদ আলী পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে গোসল করে স্ত্রীর জন্য বালতিতে পানি নিয়ে আসেন। এ সময় স্ত্রী শাহানা স্বামী এরশাদ আলী কার বাসায় গোসল করেছে সেটা জানতে চাই। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী ঘরে থাকা দরজার হুরকি( বাঁশের লাঠি) দিয়ে স্বামী এরশাদের মাথায় স্বজরে আঘাত করলে এরশাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক( রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে আইসিইউ বিভাগে এরশাদ আলী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল ) রাত ১১ টায় মৃত্যুবরণ করেন।
এরশাদ আলীর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে ( প্রত্যেকেই বিবাহিত) রয়েছে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়ার আগের পক্ষে এক মেয়ে( বিবাহিত) এবং এক ছেলে (১২) আছে। এরশাদ আলীর পক্ষের কোন সান্তানাদি নেই।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঐ দিনই নিহত এরশাদের স্ত্রীকে আটক করা হয়। পরদিন বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনেছি। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।