মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত বাঘড়া ইউনিয়ন।জেলা সদর হতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দুরত্ব,ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে বাঘড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাঘড়া গ্রাম টি মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিনত হয়েছে।অত্র এলাকা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এই অঞ্চলের মাদক বানিজ্য।একাধিক সুত্রে জানা যায়,বাঘড়া ইউনিয়নের,পশ্চিম বাঘড়া,২নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ীর মাদক সাম্রাজ্য এক সুত্রে গাঁথা।স্থানীয় প্রশাসন মাঝে-মাঝে অভিযান চালিয়ে দু চার জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করলেও আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে এসে বীর দর্পে আবার শুরু করেন মাদক বানিজ্য।মাদক ব্যবসা কে শিল্প হিসেবে নিয়েছেন কতিপয় ব্যক্তি।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,বাঘড়া বাজার ব্রীজের পশ্চিমপাড় হয়ে উত্তর দিক দিয়ে যে রাস্তাটি মুসল্লী কান্দা গ্রামের সাথে মিলিত হয়েছে গোবিন্দ কেরানীর বাড়ী হতে শুরু করে মুসল্লী কান্দা ব্রীজ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মাদক পাহাড়াদার এই রাস্তায় পাহাড়া দেন যাতে করে মাদক সাম্রাজ্যে প্রশাসন হানা দিতে না পারে।জানা যায়,পশ্চিম বাঘড়া গাবতলা,মরহুম গীতিকার সাধক শুক্কুর সাইয়ের বাড়ীর দক্ষিণ রাস্তা বরাবর নদীর পাড়,এবং গোবিন্দ কেরানীর বাড়ী হতে মুসল্লী কান্দা ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তায় মাদক লেনদেন হয়।বাঘড়া ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ী বোবার রাইছ মিলের আশ পাশে একধিক ব্যক্তির মাধমে মাদক লেনদেন হচ্ছে।তালুকদার বাড়ী মাদক সাম্রাজ্য পাহাড়া দেওয়ার জন্য একাধিক পাহারাদার আল আমীন বাজার এবং রোদ্রপাড়া কাদিরের দোকানে বসিয়ে রাখা হয়।মাদক চক্র টি এত বেশী প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ কথা বলতে ভয় পায়,কেউ কথা বললে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়।স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,বিগত স্থানীয় নির্বাচনে মাদক মূক্ত সমাজ গড়ার কথা বলে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখন আর কেহ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন না।
অনুসন্ধানে জানা যায়,স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইউ,পি সদস্যের আত্মীয়-স্বজন মাদক বানিজ্যে জড়িত থাকায়, ভয়ে কেউ মূখ খোলেন না।হিরোইন,ইয়াবা সেবনের ফলে উঠতি বয়সের অনেক তরুন জড়িয়ে যাচ্ছেন কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন অপরাধ।দ্রুত এই মাদক সিন্ডিকেট চক্র কে আইনের আওতায় নেওয়া না গেলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্হিতির অবনতি ঘটবে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।
বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল বলেন, আমি এ বিষয়ে ফোনে কোন বক্তব্য দিবো না। আপনি আসেন স্বাক্ষাতে আপনার যা যা জিজ্ঞেস করার আছে জিজ্ঞেস করেন।আমি স্বাক্ষাতে যা বলার বলবো।এসে এলাকার লোকজনের কাছেও জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়টি থানার ওসি সাহেব আছেন, ইউএনও স্যার আছেন তারা দেখবেন। আপনি একজন জণপ্রতিনিধি হিসেবে আপনার তাহলে দায়িত্বের জায়গাটা কোথায়? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, মাদক নির্মুলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না।