রাজশাহী জেলার বাঘায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী পরিত্যাক্তা রেহেনা বেওয়ার (৫২) উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার বাজিতপুর এলাকার মুনসুর রহমান ওরফে মুন্তার পুকুর পাড় এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর রেহেনার জামাই তছিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
রেহেনার মেয়ে মনিকা খাতুন জানান, স্বামীর অত্যাচার থেকে নিজেকে বাঁচাতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করছি। আমার স্বামী তার বাড়িতে আমাকে নেওয়ার জন্য মায়ের কাছে ঠিকানা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমার মা কোন ভাবেই তাকে আমার ঠিকানা দেয় নাই। যার কারণে শনিবার পুকুর পাড়ে থালা বাসুন মাজা অবস্থায় আমার মাকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০ বছর আগে স্বামী আব্দুল মালেকের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে রেহেনার। সেই সময়ে মনিকা খাতুন নামে এক মেয়ে ছিল। গত ১ বছর আগে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাদু ফকিরের ছেলে তছিকুল (৩৫) এর সাথে সেই মেয়ের বিয়ে দেন রেহেনা বেওয়া। মনিকা খাতুন (২২) এর বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে সে (মনিকা) ঢাকায় এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি নেয়।
বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বাড়ি সংলগ্ন মুনসুর রহমান ওরফে মুন্তার পুকুর পাড়ে থালা বাসনসহ রেহেনার ব্লাউজ-পেটিকট পরিহিত অবস্থায় মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেই। তার গলায় কালশিরা দাগ ছিল বলে জানান তারা।
এব্যাপারে বাঘা থানার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর তছিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।