নড়াইল সদর উপজেলার তুলারাম পুর ইউনিয়নের বিল কাঠুরিয়া সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাম মাত্র খাল খনন করে ২১ লাখ টাকা অর্থ লোপাটের পায়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিল কাঠুরিয়া মাঠে প্রায় ১ হাজর একর জমি দীর্ঘ ২ যুগ ধরে পতিত পড়ে আছে। জলাবদ্ধতার কারনে কাঠুরিয়ার ওই মাঠ থেকে কোন ধরনের ফসল ঘরে তুলতে পারে না হাতিয়ারা, বাকড়ি , দৌগাছি, কমলাপুর বেনহাটি সহ ৭ গ্রামের কৃষকেরা। এ সকল গ্রামের শতাধিক কৃষি পরিবারের একটি মাত্র স্বপ্ন ছিল একটি পরিপূর্ণ খাল খনন করা। হাতিয়ারা মহাশ্মশান হতে বাকড়ি মৈত সিকদারের ঘের পাড় পর্যন্ত ১৬ শ মিটার লম্বা খালটি পূর্ণ খনন হলে তাদের দীর্ঘ দিনের সপ্ন সফল হত। স্থানীয়দের দীর্ঘ চাওয়া পাওয়ায় এল জি ডি অধিনে বিল কাঠুরিয়া সমবায় সমিতির তত্বাবধানে ২১ লাখ টাকা খাল খননের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেনহাটি কাঠুরিয়ার মাঠে খাল খননের কাজ চলছে। খাল কাটা তো নয়, এ যেন নালা কাটা হচ্ছে। দায়সারা খাল খনন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নগত নারায়ণে তুষ্ট করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে পায়তারা চালানোর অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বেনহাটি গ্রামের তপন রায় বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে কাঠুরিয়ার মাঠে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমি পতিত পড়ে আছে। একটি খাল খনন হলে এই জমিতে ফসল উৎপাদন করা যাবে। খাল খননের কথা শুনে আমরা খুব আশান্বিত হয়েছিলাম। এখন দেখছি খাল তো নয় এ যেন নালা খনন করা হচ্ছে। এভাবে খনন কাজ করলে জমির জলাবদ্ধতা দুর হওয়া সম্ভব না। এটা নাম মাত্র খাল খনন করে অর্থ লোপাটের নীল নকশা মাত্র। এহেন কাজ তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সঠিক তদারকি করে খাল খননের আহবান জানান এই কৃষক।
একই গ্রামের কৃষক অরুপ গোস্বামী বলেন, নাম মাত্র খাল খনন করা হচ্ছে। কাঠুরিয়া সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক যোগসাজশে এই অপরিকল্পিত খাল খনন করছে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়ম অনুযায়ী খাল খননের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে খাল খনন কাজের কাঠুরিয়া বিলের সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল গোস্বামী বলেন, আমি নিজের টাকা দিয়ে কাজ করছি। এখনও বিল পায়নি। নিজের টাকা দিয়ে এর চেয়ে কেমন ভাল করব।