ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ খান হাজি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ নামের একটি ডেভলোপার কোম্পানির এমডি হায়দার আলী শেখ গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।। ইতোমধ্যেই গ্রাহকরা ফ্লাট বুঝে পেতে থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা করেছেন। তবে দুর্নীতিবাজ এই এমডি বাগেরহাট রামপালের হায়দার আলী শেখ উকিল নোটিশের জবাব না দিয়ে বনশ্রীতে আত্মগোপন করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।ধান্দাবাজ ও প্রতারক এমডি মো: হায়দার আলী শেখ(৪৩)পিতা,মোঃ লোকমান হোসেন।গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে আসলেও) মূলত তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপালে।জমি মালিক এলাকার বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন বাদল ও রয়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।চলতি মাসেই( ১০ই মার্চ, ২০২৪) মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ এর এমডি মোঃ হায়দার আলী শেখ এর সাথে জমি মালিকের গ্রান্ডফ্লোর থেকে ৯ তলা পর্যন্ত বাড়ি/ ফ্লাট নির্মাণ চুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিলো।সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ে হায়দার আলী শেখ বেজ থেকে মাত্র ৫ তলা পর্যন্ত শুধু ছাদ ঢালাই করলেও এখনো কোনো ফ্লোরেই গাঁথুনির কাজ শুরু করতে পারেননি। তাছাড়া ৫ তলার উপর থেকে ৯ম তলা পর্যন্ত আরও ৪টা ছাদ ঢালাই দিতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লোরের গাঁথুনি, পলেস্তারা, রং, পেইন্ট, জানালা-দরজা, গ্লাস থাই ও গ্রীলের কাজ সবই বাকি। তাছাড়া স্যানেটারী লাইন ও বৈদূতিক কাজও শুরু করার লক্ষণ দেখা যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এমডি রামপালের হায়দার আলী শেখ ফিরে আসলেও আরও দেড় বা দু বছরেও বিল্ডিং এর কাজ সমাপ্ত করতে পারবেননা না, বলে চরম হতাশ ফ্লাট মালিকরা। জানা যায়, হায়দার আলী শেখ ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে বায়নামা রেজিষ্ট্রেশনের নামে একই ফ্লাট একাধিক ব্যক্তির কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি- কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে বাড়ি নির্মাণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ শেষ করতে না পারলে ল্যান্ডলোনার ও ফ্লাট মালিকদের প্রতিমাসে বাসা ভাড়ার টাকা হায়দার আলী শেখ পরিশোধ করবেন মর্মে যে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ এর এই বিল্ডিং ২য় তলার দুটি ফ্লাটের ( বায়না রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে) মালিক জাপান প্রবাসী মোঃ ইকরামুল হক, C/O রিয়াজুল হাসান। ইতোমধ্যে এমডি হায়দার আলী শেখ দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্লাটের বায়না রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে জাপান প্রবাসী মো: ইকরামুল হক ও ইকরামুল হকের লোকাল গার্ডিয়ান রিয়াজুল হাসান এর উপস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়ায় ৯০ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন।তবে এ ফ্লাট দু’টিও ইকরামূল হক বা তার লোকাল গার্ডিয়ান রিয়াজুল হাসান দখল নিতে পারবেন কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সংশয়ের কারণ হিসেবে রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ল্যান্ড ওনার মো: জসিম উদ্দিন বাদল ও মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ’র এমডি মোঃ হায়দার আলী শেখ এর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্লাটের বায়না রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে( দলিল নং-১৭৫৩, তাং- ২০/০২/২০২৩ ইং) মালিক মোঃ ইকরামুল হক C/O রিয়াজুল হাসান মর্মে একটি মিনি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিন্তু ক’দিন পরেই মোবাইলে হায়দার আলীর নির্দেশ মোতাবেক ওই বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার উক্ত সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে নামিয়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে দেয়।এমডি হায়দার আলী শেখ মোহাদ্দেস এর নিকট থেকে ১৫ লাখ, ৪র্থ তলা ফ্লাট দিবেন বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ লাখ, ৬ষ্ঠ তলায় একটি ফ্লাট দিবেন বলে শহিদের নিকট থেকে ৩২ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা, মারুফের নিকট থেকে ২৬ লাখ টাকা পরবর্তী তে স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়ার মাধ্যমে আরও ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।এদিকে ল্যান্ড ওনার ও বায়নামা রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে ফ্লাটের মালিকগণ এই প্রতারক এমডিকে ধরিয়ে দিতে এবং ফ্লাট বুঝে পেতে স্থানীয় থানা ও আদালতে দফায় দফায় অভিযোগ করলেও হায়দার আলী রয়েছেন ধরা-ছোয়ার বাইরে।পাপ্য ফ্লাট বুঝে পেতে জাপান প্রবাসী মো: ইকরামুল হক এর স্থানীয় অভিভাবক মো: রিয়াজুল হাসান দক্ষিণ খানের শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।আশকোনা হাজি ক্যাম্প বায়তুল মাহফুজ জামে মসজিদ সংলগ্ন ল্যান্ড ওনার মো: জসিম উদ্দিন বাদল এর জায়গায় আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।