ভাই মিজানের বিশ্বস্ত কর্মী বলে অভিযোগ সীমাহীন। তার ভাই আবারও এসিল্যান্ড অফিসে! ভাবা যায়? নিজেদের লোক সেটিংস এর সুবিধার্থে পুরাতন মাষ্টাররুলে চাকুরীরত লোকদের বিভিন্নভাবে বিতাড়িত করে পাকাপোক্তভাবে গড়েছেন ঘুষ দুর্নীতির আখড়া! উপরে বর্ণিত অপরাধগুলো খুবই সামান্যতম মনে হবে যদি শোনা যায় কাজের ধরন বুঝে ঘুষের টাকার অংক নির্ধাারণ করে দেওয়া হয়! ডিসিআর ফি সরকার নির্ধারিত ১১৫০ টাকা বর্তমানে অনলাইনে জমা নিলেও নাজির শাখায় এক্সট্রা ৫০০-৭০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর আগত ও চলমান জোত খতিয়ান পোষ্টিং নিতে হয়। নামজারির সর্বশেষ ধাপে এসে উক্ত বর্ণিত নামজারির ফি বাদে এক্সট্রা টাকাটা না দিলে জোত খতিয়ান আর পোষ্টিং দেওয়া হয় না। ফলে অনলাইন থেকে ডিসিআর এর ১১৫০ টাকা জমাদানের যে সরকারি ম্যাসেজ, তা আর গ্রাহকের মোবাইলে আসে না! কয়েকদিন পরে গ্রাহক জানতে পারে, পেন্ডিং জটিলতার কারণে তার নামজারি জমাভাগের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে! এই সমস্যাটি ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে বর্তমানে মারাত্মক ভয়াবহ ও মহামারীর রুপ ধারণ করেছে! এর সম্পূর্ণ দায়ভার ও দোষ চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনতার কাঁধে। বলা হচ্ছে- সময়মত ডিসিআর ফি জমা না দেওয়ায় অটো বাতিল হয়েছে! অথচ, ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার কোনো ম্যাসেজ-ই আসেনি। মূলত অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে বড় বাবু সাহেব যাকে যেখানে যেভাবে সেটিং করে দিয়েছে, সে সেভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই। সে জন্য নেজারত শাখায় ঢুকলেই দেখা যায় এখানে কেউ হয়তো কাজ করতে আসেনি, মনে হয় সবাই বিকাশ, রকেট ও নগদের ডিলারশীপ নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন। সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র সাথে কাজ করা একজনের সাক্ষাৎকারে জানা যায় (যা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত), ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ পুরো এসিল্যান্ড অফিসটাকে আঙ্গুলে তুলে নাচাচ্ছেন ৩ জন অথবা৪ জন। সরকারি অফিসিয়ালি স্টাফ। কেউ প্রতিবাদ করলে হুংকার দিয়ে বলেন এসিল্যান্ডকে আমি বুঝাবো, আপনার কিছু বোঝার দরকার নাই, অফিস কিভাবে চালাতে হয়, আপনে শুধু দেখবেন। এসিল্যান্ড স্যার খুব ভালো ও সরল সোজা হওয়ার জন্যে সার্ভেয়ার-(মিজান) অনলাইন( বাবু)( দালাল (সাইফুল) (শিপন) তার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে পারছে। আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল (শিপন) তবুও বহাল তবিয়তে গাপটি মোড়ে বসে আছে ক্যান্টেমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে শিপন। বদলি হয়েছে শিপন তবুও অজানা রহস্যময় কারণে এখানেই রয়ে যায় তিনি।অনুসন্ধানে চঞ্চল আরো তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় টেবিলে বিভিন্ন কাজের রেট। বি আর এস খাস দাগ ১৫ হাজার টাকা। এস এ, আর এস ৮নং রেজিস্টার দাগ হলে ১৫ হাজার টাকা, এল এ দাগ ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা,খ তালিকা হলে ৩ থেকে ৫ হজার টাকা, নির্ভেজাল প্রতি পিছ কাজের রেট ১ হাজার টাকা! তাদের ঔদ্ধোত্বপূর্ণ আচরণ ও অহমিকামূলক কথাবার্তায় বোঝা যায়; তারা এসিল্যান্ড অফিসে রাজ করতে এসেছে।লুট করতে এসেছে, শোষন করতে এসছে! তারা কোনো পাবলিক সেবা দিতে আসেনি