মুক্তাগাছা থানার ১ নং দুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এর দুর্নীতির অভিযোগ সুত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি সাহেব তার নিজস্ব ক্ষমতার বলে চেচুয়া বাজার এলাকায় আয়মান নদীর জায়গা দখল করে ব্রিজের পাশে বহুতল বিল্ডিং নির্মাণ করেন যার প্রকৃত বৈধ কাগজ পত্র তার কাছে নাই, গোপন সুত্রে জানা যায় তার এই মার্কেটের ভিতরে একটি ক্লিনিক ব্যবসা রয়েছে (সেবা ক্লিনিক)যার বৈধ লাইসেন্স নাই।নির্ভাহী মেজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে এই মার্কেটে তালা বদ্ধ করে দেয়।তাহার এ সকল ব্যবসা বানিজ্যের রক্ষনশীল কর্মী তাহার ডান হাত ইউনিয়ন পরিষদ এর ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রশিদ। এই রশিদ মেম্বার এর মাধ্যমেই তার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।অত্র ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি সাহেবের পুর্বের ইতিহাস খতিয়ে দেখতে গেলে তিনি ছিলেন পেশায় একজন সাধারণ ব্যক্তি ।অল্পতেই অটাল সম্পদের পাহাড়ে উঠেছেন তিনি, পর পর দুই বার স্বতন্ত্র প্রার্থীর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন হোসেন আলী হুসি তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার সাহস অত্র ইউনিয়ন এর কারও নাই।এই চেয়ারম্যান সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ কে জানায়।জৈনাকান্দা গ্রামের গ্রাম বাসির বক্তব্য এই চেয়ারম্যান এই এলাকায় বা এই রাস্তায় (হাজীবাড়ী রোড়) কোন সংস্কার মুলক কাজ করেননি এই সাত বছরে।
বিগত ১৮ ই মার্চ রবিবার ঘটনার বিবরনের বর্ননা নিন্মলিখিত :
সকাল ১১ টায় তাহার ইউনিয়ন পরিষদ এর চৌকিদার বুটন এসে পদুর বাড়ী এবং চেচুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে হাজীবাড়ী রোড এর মাটির গাড়ী চলাচলের নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড (উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নির্দেশে লাগানো ছিলো) খুলে নিয়ে যায়।
বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি সাহেবের কাছে মোবাইলে জানানো হলে তিনি চৌকিদার কে দেয়া নির্দেশ এর কথা অস্বীকার করেন।কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ এ গিয়ে উক্ত চৌকিদার বুটন এর জবানবন্দি র্ভিডিও রেকর্ড হয় যা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি এর নির্দেশেই উক্ত নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড এবং বাশ খুলে আনা হয়েছে বলে স্বীকার করেন চৌকিদার বুটন।পরবর্তীতে রাত ৭:৩০ মিনিটে আবারও জৈনা কান্দা গ্রামের বাসিন্দারা চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি সাহেবের ব্যক্তিগত অফিস চেম্বার, চেচুয়া মসজিদ রোড এ যায়।
তাহার ব্যক্তিগত অফিসে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি এবং তাহার ব্যক্তিগত সহকারী এবং ইউনিয়ন পরিষদ এর ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রশিদ।
জৈনাকান্দা গ্রাম বাসির প্রায় সবাই বক্তব্য পেশ করতে থাকেন কেন তাদের হাজিবাড়ী রোড এর সাইনবোর্ড এবং বাশ চৌকিদার দিয়ে খুলে আনা হইলো । জৈনা কান্দা গ্রামের গ্রামবাসির প্রশ্নের উওরে চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নির্দেশে লাগানো সাইনবোর্ড এবং বাশ খুলে আনা হয়েছে তার কাছে লিখিত কাগজ পত্র আছে, উক্ত কাগজ পত্র গ্রামবাসী দেখতে চাইলে তা বের করা হয় এবং সবাইকে সেই কাগজ দেখানো হয়।উক্ত কাগজের লেখা গুলি উপস্থিত একজন সবাইকে পড়ে শোনায় তাতে সু-স্পষ্ট প্রমাণিত হয় উপজেলা নির্ভাহী অফিসার চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি কে সাইনবোর্ড এবং বাশ খোলার অনুমতি দেয় নাই,সিন্ডিকেট মাটি ব্যবসায়ীরা মো:আন্নেস আলী (৩৫)এবং মো:হুদা মিয়া (৩৭) উপজেলা নির্ভাহী অফিসার এর নিকট একটি মিথ্যা অভিযোগ আবেদন করেছিলো, কিন্তু ইউএনও মেডাম জরুরি কাজে অফিসের বাহিরে থাকায় তাহার সহকারী আবেদন টি গ্রহণ করে সাক্ষর করে আরেকটি সফট কপি সিন্ডিকেট মাটি ব্যবসায়ী মো:আন্নেস আলী (৩৫)এবং মো: হুদা মিয়া(৩৭) কে দেয়, তারা সেই আবেদন এর সফট কপি এনে চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি কে দেয় এবং সে প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেরিকেড খুলে সিন্ডিকেট মাটি ব্যবসায়ী দের জন্য উন্মুক্ত করা হয় হাজীবাড়ী রোড । কিন্তু একই দিনে জৈনা কান্দা গ্রামের সকল গ্রামবাসী গন সাক্ষর করে আবেদন করে যেন এই হাজীবাড়ী রোড ব্যবহার করে সিন্ডিকেট মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি না নিতে পারে এবং এই রাস্তার ক্ষতি রোদে সহযোগিতা করেন উপজেলা নির্ভাহী অফিসার ।কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার জরুরি কাজে বাহিরে থাকায় তাহার সহকারী আবেদন টি গ্রহণ করে সাক্ষর করে আরেকটি সফট কপি একই ভাবে জৈনাকান্দা গ্রামবাসীকে দেয়।
এই নিয়ে চেয়ারম্যান এর ব্যক্তিগত অফিসে উপস্থিত জৈনা কান্দা গ্রাম বাসির সাথে চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি এর সাথে বাক বিতন্ডা হয় একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে জৈনাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের শাসাতে থাকে রাস্তা দিয়ে মাটির গাড়ী যাবে ইট ভাটায় মাটি দিবে ক্ষমতা নেই কারও বাধা দেয়ার,এই বক্তব্য জৈনাকান্দা গ্রামবাসী একজন চেয়ারম্যান এর কাছে আশা করেনি তাই তারা তার কথার প্রতিবাধ করলে চেয়ারম্যান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রাম বাসিকে তাহার ব্যক্তিগত অফিস থেকে তিক্ত আচরণ করে বের করে দেয়।বিষয়টি তৎক্ষনাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয় এবং মাননীয় এমপি কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম সাহেব কে সহ জানানো হয় তারা অত্র গ্রামবাসী কে আশ্বস্থ করেন বিষয়টি তারা দেখবেন।