চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের মোশাররফ আলী বাজারে জমিদারকে উচ্ছেদ করে ভাড়াটিয়ার দোকানঘর জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহারচড়া ইউপির ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত গোলাম নবীর পুত্র প্রবাসী আবুল খায়ের ২০০৩ সালে ছাফ কবলা ও দুইটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পমূলে জনৈক ছৈয়দুল হক গং এর নিকট থেকে প্রায় ৩শতক জায়গা ক্রয় করে ২টি দোকান গৃহ নির্মাণ করে। সে থেকে তিনি অস্থায়ী দোকান ভাড়া নামা চুক্তিপত্র সম্পাদন করে ভাড়া দিয়ে দখলে ছিল। ২০১১ সালে এসে দোকানের একটি ফটক প্রবাসী আবুল খায়ের সহজ সরল মনে তার বড় ভাইয়ের মেয়ে জামাই শাহাব উদ্দীনকে মাসিক দুই হাজার টাকা করে মৌকিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়। শাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ভাড়া দিয়ে আসলে বিগত দুই বছর যাবৎ নানা অযুহাত শুরু করে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবুল খায়ের দেশে এসে বিগত দুই বছরের ভাড়া পরিশোধ করতে বলিলে সে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ভাড়া দিবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক জবর দখল করে রাখে দোকানের একটি ফটক।
এ বিষয়ে মোশাররফ আলী মিয়া বাজার কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, আমরা জানি দোকান গুলোর জমিদার প্রবাসী আবুল খায়ের। সে দীর্ঘদিন যাবৎ দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে আছেন। শাহাব উদ্দিন গায়ের জোরে দোকানটি ছাড়ছে না।
দোকানের জমিদার প্রবাসী আবুল খায়ের বলেন, আমি শাহাব উদ্দিন কে ভাড়া দেওয়ার জন্য বললে সে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি বাজার পরিচালনা কমিটি সহ আদালতের আশ্রয় নিই। বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলে। পরবর্তীতে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন জমা দেয়। আদালত তাকে ক্ষতিপূরণসহ দোকানটি আমাকে বুঝিয়ে দিতে বলে। এরপরও সে গায়ের জোরে আদালতের রায় কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জোর পূর্বক দখলে রাখে।
দোকানের বর্তমান দখলকারী (ভারাটিয়া) শাহাব উদ্দীন বলেন, জায়গাটি আমার তালতো আলমগীরের। সে নিজ অর্থে দোকান টি নির্মাণ করে ২০০৭ সালে। তার মৃত্যু পূর্বে সাড়ে ৮ লাখ টাকা দামে আমাকে দখল অর্পণ ও হস্তান্তর করে। আমার নামে ২০১৮ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ বিল আছে।