সাভারের আমিনবাজারে রাতের বেলায় চুরি ও দিনের বেলায় সন্ত্রাসী কার্মকান্ড করে সাধারন মানুষকে মারধরকারী রাজু আহমেদ শ্যামল গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে আমিনবাজার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে আমিনবাজার-বড়দেশী সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
আয়োজিত মানববন্ধনে এসময় নারী-পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের সাধারন মানুষ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া মাদরাসা পরিবারসহ সাধারন ভুক্তভোগীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে লেখা ছিলো মাদরাসা বিদ্বেষী প্রতারক ও ইসলাম বিদ্বেষী রাজু আহমেদ শ্যামলের ষড়যন্ত্র মানিনা, মানবোনা আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আমিনবাজার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন আয়োজিত ব্যানারে লেখা ছিলো, চুরি, ছিনতাই ও সমিতির নামে সাধারন মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী রক্তচোষা রাজু আহমেদ শ্যামল নিজের অপরাধ ঢাকতে ঈদগাহ উন্নয়নের দোহাই দিয়ে মাদরাসা ভাঙ্গার পায়তারা করছে। মামলাবাজ শ্যামলের ভয়ে আমিনবাজারবাসী জিম্মি ও আতঙ্কিত। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা চক্রের হোতা রাজু আহমেদ শ্যামলের হাত থেকে রেহাই চেয়ে এলাকাবাসীরা কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, ভূমি দস্যু, নারী লোভী যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী প্রতারক শ্যামলের গ্রেপ্তার চাই। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে এসময় মাদকমুক্ত আমিনবাজার গড়কে মাদক সম্রাট শ্যামল বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত হাজী ডালিম বলেন, যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে রাজু আহমেদ শ্যামল এলাকায় আধিপত্ত্য বিস্তার করতে সাধারন মানুষকে মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। তারা বাহিনীর লোকেরা চুরি, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে ও মাদরাসার অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাইলে সে আবারও মানহানির মিথ্যা মামলা করেছে। আমরা এই মিথ্যা মামলাবাজ রাজু আহমেদ শ্যামল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি পাশাপাশি এলাকাবাসীদের ঐক্যবধ্য হয়ে প্রতারক ও অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের সদস্যদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার ঘোষনা দেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমান ফয়েজ বলেন, আমি ব্যক্তিগত ঘর নির্মান করতে গেলে রাজু আহমেদ শ্যামল, তার ভাই সুমন, ভগ্নিপতি মোঃ টুটুল, ফুপা মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে জামাল কর্মচারী মনজু ও সাইদসহ তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মারধর করেছে রাতে নির্মান সামগ্রী চুরি করেছে যা সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এই চক্রের সদস্যরা দিনের বেলায় চুরি ও দিনে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ মানুষকে হুমকি ধমকি দিয়ে প্রতরানা মাধ্যমে মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্বশ^ লুটে নেয়। আমি চুরির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলে সেই মামলা থেকে বাঁচতে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার কার্যক্রম করায় মামলা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালায়। এছাড়া শ্যামল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি প্রীতি সমিতির নামে এবং জমি বিক্রীর সাধারন মানুষের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া যুবলীগ সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ লুট করে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, সড়ক সংস্কার, মসজিদে এসি প্রদানসহ মানুষকে সহায়তা করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আমরা এই প্রতারক শ্যামল গংদের শাস্তি দাবি করে আইনী ব্যবস্থা নেয়ায় বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমি সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
তবে মানববন্ধনে উঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাজু আহমেদ শ্যামলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।