সঙ্গীত শিল্পী আজমা সুরাইয়া জন্ম ১৯ মার্চ টাঙ্গাইলে। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি জামালপুর জেলা সদরে। তাঁর পিতার নাম : মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ( পরিচালক, বিএডিসি) ও মাতার নাম :সুফিয়া রহমান। শিশুকাল থেকেই সঙ্গীতের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মে যার কারনে সঙ্গীতের হাতে খড়ি নেন সংগীত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও পরে নাজমুল ইসলাম রোমানের নিকট। পরবর্তীতে
ঢাকায় এসে সঙ্গীত শিক্ষক হাসান ইকরাম উল্লাহ ও অসিত দে এর নিকট তালিম গ্রহণ করেন। শিল্পী আজমা ২০০৩ সালে টেলিভিশনের আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে ও ২০২৩ সালে পল্লীগীতির শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন এবং দলীয় সঙ্গীতেও তালিকা ভুক্ত হয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারে পল্লগীতির শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হোন। শিল্পী আজমা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী। তিনি ২০১৮ সালে সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে পল্লীগীতিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পী আজমা জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে চার বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় উস্তাদ হাসান ইকরামুল্লার কাছ উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম গ্রহণ করছেন। শিল্পী আজমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্হাপনায় অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন । তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায় গানের জগতে প্রবেশ। বিভিন্ন মঞ্চে গান গেয়ে থাকেন।
এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলে গান পরিবেশন করে থাকেন। অনেকগুলো মিক্সড এলবাম প্রকাশিত হয়েছে । বিটিভি’র” ভরা নদীর বাঁকে” অনুষ্ঠানে অনেকবার গান করেছেন,, এছাড়াও,, চুপিচুপি অনুভবে তুমি কি আমারই হবে,,এই গানটি ব্যপক জনপ্রিয়োতা পয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা রামপুরা বনশ্রীতে বসবাস করছেন। তাঁর স্বামী একজন বিসিএস কর্মকর্তা( চিকিৎসক)।স্বামির সহযোগিতা তাকে সব চেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সুরকে আঁকড়ে ধরে
আজমা সুরাইয়া শিল্পী সঙ্গীতের চর্চা অব্যাহত রাখলে নিশ্চয়ই শ্রোতাদের নিকট আরো গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আমি মনে করি।
লেখকঃ ইউনুস আলী মোল্লা।
সম্পাদনায়ঃ ইয়াসির আরাফাত।