এদিকে ল্যান্ড ওনার( জমি মালিক) ওই এলাকার বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন বাদল ও রয়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
চলতি মাসেই( ১০ই মার্চ, ২০২৪) মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ এর এমডি মোঃ হায়দার আলী শেখ এর সাথে জমি মালিকের গ্রান্ডফ্লোর থেকে ৯ তলা পর্যন্ত বাড়ি/ ফ্লাট নির্মাণ চুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিলো। তবে ৫ই মার্চ সরেজমিনে ওই বিল্ডিং পরিদর্শন শেষে একাধিক প্রথম শ্রেণীর গণমাধ্যম কর্মীরা চুড়ান্ত হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা ভিডিও ও স্থির চিত্র ধারণপূর্বক প্রমাণসহ দেখান যে, ওই বিল্ডিংয়ে হায়দার আলী শেখ বেজ থেকে মাত্র ৫ তলা পর্যন্ত শুধু ছাদ ঢালাই করলেও এখনো কোনো ফ্লোরেই গাঁথুনির কাজ শুরু করতে পারেননি। তাছাড়া ৫ তলার উপর থেকে ৯ম তলা পর্যন্ত আরও ৪টা ছাদ ঢালাই দিতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লোরের গাঁথুনি, পলেস্তারা, রং, পেইন্ট, জানালা-দরজা, গ্লাস থাই ও গ্রীলের কাজ সবই বাকি। তাছাড়া স্যানেটারী লাইন ও বৈদূতিক কাজও শুরু করার লক্ষণ দেখা যায়নি। এদিকে এ রিপোর্ট যখন লেখা হচ্ছে তখন বাড়ি নির্মাণ চুক্তি মোতাবেক ডেভলপার হায়দার আলী শেখ এর হাতে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় অবশিষ্ট আছে। তাই আত্মগোপনে থাকা এমডি রামপালের হায়দার আলী শেখ ফিরে আসলেও আরও দেড় বা দু বছরের মধ্যেও এই বিল্ডিং কমপ্লিট করতে পারবেননা না বলেই ফ্লাট মালিকরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেন।
এই বিল্ডিং সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, হায়দার আলী শেখ ফ্লাট দেওয়ার কথা বলে বায়নামা রেজিষ্ট্রেশনের নামে একই ফ্লাট একাধিক ব্যক্তির কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে বাড়ি নির্মাণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ শেষ করতে না পারলে ল্যান্ডলোনার ও ফ্লাট মালিকদের প্রতিমাসে বাসাভাড়ার টাকা হায়দার আলী শেখ পরিশোধ করবেন মর্মে যে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।।
এদিকে এই মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ এর এই বিল্ডিংয়ের ২য় তলার দুটি ফ্লাটের ( বায়না রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে) মালিক জাপান প্রবাসী মোঃ ইকরামুল হক, C/O রিয়াজুল হাসান। ইতোমধ্যে এমডি হায়দার আলী শেখ দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্লাটের বায়না রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে জাপান প্রবাসী মো: ইকরামুল হক ও ইকরামুল হকের লোকাল গার্ডিয়ান রিয়াজুল হাসান এর উপস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়ায় ৯০ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেছেন।। তবে এ ফ্লাট দু’টিও ইকরামূল হক বা তার লোকাল গার্ডিয়ান রিয়াজুল হাসান দখল নিতে পারবেন কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।। এ সংশয়ের কারণ রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ল্যান্ড ওনার মো: জসিম উদ্দিন বাদল ও মাইশা এম এস প্রোপার্টিজ’র এমডি মোঃ হায়দার আলী শেখ এর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় তলার এই দুটি ফ্লাটের বায়না রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে( দলিল নং-১৭৫৩, তাং- ২০/০২/২০২৩ ইং) মালিক মোঃ ইকরামুল হক C/O রিয়াজুল হাসান মর্মে একটি মিনি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিন্তু ক’দিন পরেই মোবাইলে হায়দার আলীর নির্দেশ মোতাবেক ওই বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার উক্ত সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে নামিয়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে দেয়।।
এদিকে খোঁজ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা আরও জানতে পারেন যে, এমডি হায়দার আলী শেখ
মোহাদ্দেস এর নিকট থেকে ১৫ লাখ, ৪র্থ তলা ফ্লাট দিবেন বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ লাখ, ৬ষ্ঠ তলায় একটি ফ্লাট দিবেন বলে শহিদের নিকট থেকে ৩২ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা, মারুফের নিকট থেকে ২৬ লাখ এখন স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়ার মাধ্যমে আরও ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে ল্যান্ড ওনার ও বায়নামা রেজিষ্ট্রেশন সূত্রে ফ্লাটের মালিকগণ এই প্রতারক এমডিকে ধরিয়ে দিতে এবং ফ্লাট বুঝে পেতে স্থানীয় থানা ও আদালতে দফায় দফায় অভিযোগ করলেও হায়দার আলী রয়েছেন আত্মগোপনে।
ইতিমধ্যে তাই ফ্লাট বুঝে পেতে জাপান প্রবাসী মো: ইকরামুল হক এর স্থানীয় অভিভাবক মো: রিয়াজুল হাসান দক্ষিণ খানের শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এখানে উল্লেখ থাকে যে, দক্ষিণ খানের হাজি ক্যাম্প এলাকার বায়তুল মাহফুজ জামে মসজিদ সংলগ্ন ল্যান্ড ওনার মো: জসিম উদ্দিন বাদল এর জায়গায় আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকা এই প্রজেক্টের ধান্দাবাজ ও প্রতারক এমডি মো: হায়দার আলী শেখ(৪৩) ( গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সন্তান পরিচয় দানকারী) এই প্রতারকের গ্রামের বাড়ি মূলত: বাগেরহাট জেলার রামপালে, তার পিতার নাম মোঃ লোকমান হোসেন।।
( এই ভূয়া ডেভলপার কোম্পানির মহা প্রতারক এমডি মো: হায়দার আলী শেখ এর আরও দুর্নীতি ও ধান্দাবাজীর সংবাদ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।)