রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার ০২ নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করায় উক্ত ইউপির এক নারী সদস্যকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ইউপির সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬) আসনের নারী সদস্য তহমিনা বেগম বাড়িতে চেয়ারম্যান বাবলুসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী গিয়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে নিজের পক্ষে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে জোর করে সিল মেরে নেয়, এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ সকালে মোহনপুর উপজেলার ০২ নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যার আজাহারুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বর্তমান ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আইনাল হক, আব্দুস সালাম, আফাজ উদ্দিন শেখ, কাউসার আলী, মাবিয়া বেগম, তহমিনা বেগম, মিনা খাতুন। তারা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ্য করেন, আমরা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হতে বর্তমান চেয়ারম্যান আমাদের না জানিয়ে তার একক সিদ্ধান্তে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সে নিয়মিত পরিষদের বেতন ভাতা প্রদান করে না। আমাদেরকে চেয়ারম্যান প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অত্র ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এমতাবস্থায় আজাহারুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে তার পদ হতে বরখাস্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
এরই প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান বাবলু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তহমিনার বাড়িতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে জোর করে নিজের পক্ষে স্বাক্ষর নিয়ে চলে আসে। পরে তহমিনার ছেলে লিটন বাড়িতে গিয়ে মাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসিদের সহোযোগিতায় প্রথমে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রামেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের দুর্নীতিসহ তার সার্বিক কার্যক্রমে অতিষ্ট হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকার কাছে অভিযোগ দায়ের করে বাড়ি যাওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান, কুদ্দুস, হাফিজ মেম্বারসহ সন্ত্রসী বাহিনী আমাদের পক্ষের ইউপি নারী সদস্য তহমিনাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্বাক্ষর নিয়েছে। তাহমিনাকে একা পেয়ে তারা অনেক খারাপ আচরণ করেছে, তহমিনা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। আমরা বিষয়টি ইউএনও মহোদ্বয়কে অবগত করেছি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।