রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে মিলছে না কোনো সুরাহা৷ ধরা পড়ছে না চোর৷ নৈশপ্রহরীরা ঠিকঠাক ডিউটি করছে কিনা এমন প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের৷ আবারো বানেশ্বর বাজারে গোডাউনসহ দোকানের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দিবাগত রাতে (৬ মার্চ) রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পুঠিয়ার বানেশ্বরের হাজী মার্কেটের বিপরীতে একটি ব্যাংকের দক্ষিনে ইশিতা ডেকোরেটরের গোডাউন ও দোকান ঘরে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
ডেকোরেটরের একজন কর্মচারী জানায়, গতরাতে আমাদের একটা মাহফিল ছিলো। সেখান থেকে ফিরে মহাজন আমাকে বাড়িতে নামিয়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসে। সকালে ফোন দিয়ে আমাকে জানায় দোকানের তালা কাটা এবং দোকান চুরি হয়েছে। আমি দোকানে এসে দেখি অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। যার টাকার পরিমান ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।
দোকান মালিক মহসিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি দোকানে এসে একটি শাটার খুলেছি। তারপর দেখি চারটি মেশিন নাই এই ঘরে। ওই শাটার ঘুলতে গিয়ে দেখি তালা কাটা। পরে সন্দেহ হলে পেছনের গোডাউনে গিয়ে দেখি একটা তালাও নাই। শাটার খুলে দেখি গোডাউনে কোনো মাল নাই৷ মেশিনপত্র যা ছিলো সব চুরি করে নিয়ে চলে গেছে। তারের বস্তা সহ অনেকগুলো মাল চুরি হয়ে গেছে৷ প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মাল নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি বলে জানান ডেকোরেটোরের মালিক মহসিন আলী।
বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুবায়ের হোসেন বলেন, বানেশ্বরে ডেকোরেটোরের দোকানে চুরি হয়েছে। নাইটগার্ড ভালোভাবেই ডিউটি করে। আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। সবাই মিলে চোর বের করার চেষ্টা করছি। পুলিশ এসেছিল তদন্ত করতে। একজন নাইট গার্ডকে পুলিশ জেরা করেছে৷ আরেকজনকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য সন্ধ্যায় থানায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে৷
ঘটনার বিষয়ে পুঠিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, রাতে বানেশ্বরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকান মালিক মৌখিক ভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।