সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি অবৈধ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৪ মার্চ) রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম।
এর আগে সন্ধ্যায় তাকে আটক করে মেডিকেল কলেজ থেকে থানায় আনে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
ওসি বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি অবৈধ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ’) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।
এঘটনায় ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন’) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- তদন্ত কমিটি বর্ণিত বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক এ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে।’