বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা পথচলা শুরু করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এর ফলে একটানা চতুর্থবার এবং শেখ হাসিনা পঞ্চম বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন।
দুজন টেকনোক্র্যাট-সহ সাঁইত্রিশ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ডঃ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে করা হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া বিদায়ী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে নতুন মন্ত্রিসভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী করে প্রথমবারের মতো পূর্ণমন্ত্রী হওয়া মুহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে।
এই প্রজ্ঞাপনেই বলা হয় যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সাথে সাথে আগের মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
ওই প্রজ্ঞাপন জারির পর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি যাদের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ণমন্ত্রী ২৫ জন আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়।
এরপর শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দফতরের নাম প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ঐতিহাসিক ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে জয়লাভ করে। যদিও নির্বাচনটি ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
তবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বলেছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে এবং তাদের হিসেবে নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে।
বিএনপি-সহ বেশ কিছু চুনোপুঁটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করায় নির্বাচনের দিনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম ছিল বলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে।
তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় আমজনতা এই নির্বাচন হাসিমুখে মেনে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নব উদ্যমে পথচলা শুরু করেছে।।
লেখক: আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যবসায়ী, লেখক, সাহিত্যিক, সম্পাদক ও দেশসেরা সিআইপি।।