আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি যে এসএসসির ছাত্রছাত্রীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানের কিছু অন্যরকম চিত্র।এই চিত্র শুধু যে একটি মাত্র স্কুলে তা নয়!
অধিকাংশ স্কুলগুলোতেই এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ে ছাত্রছাত্রীদের এ ধরনের উল্লাস করতে দেখা যায়।
এদের বিদায় অনুষ্ঠান দেখে আমাদের এসএসসির বিদায় অনুষ্ঠান কথা খুব মনে পড়ে।
আমরা দীর্ঘদিন যে স্কুলে পড়েছিলাম সেই স্কুলের প্রত্যেকটা শিক্ষক অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি স্কুলের বিভিন্ন স্থান গাছপালা এক কথায় স্কুলের প্রতি একটা মায়া তৈরি হয়েছিল। সেই ভালোলাগা এবং ভালোবাসার ব্যক্তিদের ছেড়ে যাওয়ার সময় আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।
সমস্ত শিক্ষকরা সারিবদ্ধভাবে চেয়ারে বসে থাকতেন আমরা তাদেরকে সালাম করে বিদায় নিয়েছিলাম প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছিলাম কিছু কিছু শিক্ষকে এত ভালো লাগতো যে তার কাছ থেকে বিদায় নিতে অশ্রু বিসর্জন দিয়েছিলাম তিনিও বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন। এভাবে একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে একাধিক ছাত্রের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এভাবেই আমাদের সময় সকলেই বিদায় নিত।
আর এখন সে চিত্র কিভাবে পরিবর্তন হয়ে এই রূপ নিয়েছে এর জন্য আসলে দায়ী কে????
আমার মনে হয় এর জন্য দায়ী আমি আপনি আমরা সকল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক , শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী।
আর আমরা যারা দায়ী আমাদের সকলেরই এই বিষয়টির প্রতি একটু সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারো কাছে ভুল মনে হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আর যদি পরিবর্তন চান তাহলে যার যার স্থান থেকে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য শেয়ার করার অনুরোধ রইল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে।
যার ভুক্তভোগী হব আমি আপনি আমরা সকলেই।
মোঃ মাহবুবুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মহেশপুর থানা,
মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
সূত্রঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।