রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারে মাংস বিক্রেতা মামুন হোসেনকে (৩৮) হত্যার অভিযোগে আরেক মাংস বিক্রেতা মিজানুর রহমান ওরফে খোকনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার মাদারীপুর থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব জানায়। মিজানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করায় মামুনকে হত্যা করেন মিজান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মামুন ও মিজান পরস্পরের আত্মীয়। তাঁরা একসময় একসঙ্গে মাংসের ব্যবসা করতেন। পরে আলাদা হয়ে যান। সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি নিশ্চিতে গত ডিসেম্বরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান শুরু করে। অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মামুন সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু মিজান সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করছিলেন। এ কারণে তাঁর দোকানে মাংস বিক্রি কম হতো।
বিষয়টি নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২০ জানুয়ারি মাংস কাটার ছুরি দিয়ে মামুনকে আঘাত করেন মিজান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুন মারা যান। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান মিজান। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদারীপুর থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজধানীর শাজাহানপুরে এক মাংস ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে কোনো ব্যবসায়ী মাংস বিক্রি করলে কেউ যদি হুমকি দেন, তাহলে ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দেবে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখসহ পাইকারি বাজার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত শনিবার ভোররাতে ৬৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রাতেও অভিযান চালিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম যাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে না বাড়ে, সে জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।