নিজস্ব প্রতিবেদক: দুগ্ধবতী উন্নত জাতের গাভী পালন প্রযুক্তি জ্ঞান হাতে কলমে আহরণের উদ্দেশ্যে দেশের ৬৪ জেলার প্রান্তিক গো খামার মালিকরা রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়ি এলাকার অর্ধশত গো-বাথান পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া রাউতারা গরুর গবর থেকে উৎপাদিত বায়োগ্যাস প্লান্ট, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানা গুরো দুধ তৈরী প্লান্ট ও বাঘাবাড়ি প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের তৃতীয় ব্যাচের এ প্রশিক্ষণ এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে। চার পর্বে ৬৪ জেলার মোট ১২০ জন প্রান্তক খামারি এই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করছে। বেসরকারি সংস্থা আশা এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া দেশের প্রান্তক ডেইরী খামারীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে নিজেদের খামারে উন্নত জাতের গাভী লালন পালন করে আরও অধিক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি উন্নত জাতের গাভী পালন করে এলাকার বেকার যুবক যুবতীরা যাতে তাদের বেকারত্ব দূর করতে পারে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন, আশার পরিচালক (প্রোগ্রাম) মো: হামিদুল ইসলাম। এ সময় ডেপুটি ডাইরেক্টর মো: খুরশীদ আলম, শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে খামারীরা বলেন, এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমরা উন্নত জাতের গাভী পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি শিখছি। এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের খামারে উন্নত জাতের গাভী পালন করে অধিক পরিমাণ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের উন্নত জাতের গাভী পালন করে বেকারত্ব দূর করে সাবলম্বী হতে সহযোগিতা করবো। ফলে আমাদের এলাকার বেকারত্ব দূর হয়ে অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অপরদিকে দেশে শিশুখাদ্য ও পুষ্টির অভাব পীরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ফলে আমাদের দেশে বিদেশ থেকে দুধ আমদানির পরিবর্তে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। আমরা আথিক ভাবে আরও অধিক লাভবান হবো।
এ বিষয়ে আশার পরিচালক (প্রোগ্রাম’) মো: হামিদুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি সংস্থা আশা ২০১৬ সাল থেকে দেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দেশের ৬৪ জেলার প্রান্তিক খামারীদের উন্নত জাতের গাভী পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ফলে প্রান্তিক খামারিদের ভবিষ্যত মান উন্নয়নের পাশাপাশি দুগ্ধবতি খামার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খামারিরা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নত জাতের গাভী পালনে হাতে কলমে শিক্ষা গস্খহণ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। তারা এদিন রেশমবাড়ি এলাকার অর্ধশত গো- বাথান, গবাদিপশুর হাট-বাজার, সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা দুগ্ধ করখানা ও বাঘাবাড়ি প্রাণি সম্পদ গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সম্মক ধারণা অর্জন করেন।’