মাদারীপুর সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের নারীসহ ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের খাগদাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন খাগদাহ এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন (৫৫), আবদুল সালাম হাওলাদার (৭৩), আবদুল কালাম হাওলাদার (৬৮), লিয়া আক্তার (৩৮), মেহেদি হাসান (২৫) ও মো. অলিউল্লাহ (৫৫)। তাঁদের মধ্যে আবদুল সালাম হাওলাদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খাগদাহ এলাকার বাসিন্দা আবদুল কালাম হাওলাদারের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী আয়ুব আলী হাওলাদার ওরফে আনোয়ার হাওলাদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। এরই জেরে আয়ুব আলী হাওলাদার তাঁর লোকজন নিয়ে গতকাল রাতে আবদুল কালাম হাওলাদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবদুল সালাম হাওলাদারকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
মাদারীপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহামুদ বলেন, গুরুতর জখম নিয়ে একই পরিবারের ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হামলায় আহত মেহেদি হাসান বলেন, ‘হঠাৎ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আনোয়ার হাওলাদার তাঁর লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। তাঁর লক্ষ্য আমাদের উচ্ছেদ করা। এ জন্য তিনি এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘এলাকায় জমি নিয়ে আবদুল সালাম হাওলাদারের সঙ্গে আমার বিরোধ আছে। কিন্তু তাঁকে আমি মারতে যাব কেন? পুরো ঘটনাটি সাজানো। শুনেছি, আবদুল সালাম হাওলাদারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নন।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়েছেন। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।