নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের নিরালী বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় তৈরী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । যানা গেছে , স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক মিনা মফিজুর রহমান যোগসাজশে নাম মাত্র স্কুল খুলে বেকার যুবকদের নিকট হতে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিয়মনীতির কোন রকম তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গা দখল করে
টেউটিন দিয়ে খুপড়ি ঘর তৈরী করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় কিছু প্রতিবন্ধীদের ভর্তি করে পাঠদান করানো হচ্ছে। মূল লক্ষ্য গ্রামের সহজ সরল নিরীহ প্রকৃতির লোক টার্গেট করে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগত অর্থ নেওয়া। স্থানীয়দের দাবি, অভিনব এই প্রতারণা ফাঁদ পেতেছেন এই দুই ধূর্ত।স্কুল দেখিয়ে সেখানে বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকুরী পাওয়ার আশায় নগত অর্থ দিয় চরম বিপাকে পড়েছে একাধিক চাকুরী প্রত্যাশী।
আগদিয়ার চর গ্রামের চিন্ময় সেন বলেন, আমাকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ভ্যান চালক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা নিয়েছেন সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস। গ্রামে বাড়ি হওয়ায় আমি বিশ্বাসের সাথে তাকে টাকা দিয়েছি।বিষয়টি গ্রামের সবাই জানে।কয়েকমাস ভ্যানে আমি ছাত্র ছাত্রী দের আনা নেওয়া করিছি।এখন দেখছি স্কুল বন্ধ হাওয়ার পথে। গরীব মানুষ আমি।
একই গ্রামের অশোক বিশ্বাস বলেন, আমার স্ত্রীকে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট হতে২লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি ছাড়াও এই গ্রামের অনেক লোকের নিকট হতে টাকা নিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
আগদিয়ার চর গ্রামের সন্জু সার্নালের স্ত্রীকে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২ লাখ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এরুপ ভাবে
অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির ব্যাক্তির নিকট হতে নগত টাকা নিয়েছে এই চক্র।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিনা মফিজুর রহমান বলেন, টাকা নেওয়া হয়েছে এটা সত্য।ওই টাকা দিয়ে স্কুলে ঘর তৈরী করা হয়েছে।
অপর দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ বলেন, স্কুল চালাতে টাকার প্রয়োজন তাই নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়ে স্কুল উন্নয়নে ব্যায় করা হয়েছে।