নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মিনা হিলন হোসেন কে মারপিট করে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের নথিসুত্রে যানা গেছে, বিছালী ইউনিয়নের কোবাদ শেখের ছেলে আনিসুল ইসলাম, সৈয়দ আলী আজম শেখের ছেলে সৈয়দ রবিউল শেখ,পান্নু মুন্সির ছেলে জাহেদ মুন্সিদের সাথে আড়পাড়া গ্রামের মোঃ মিনা হিলনের দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাম্য দলাদলী চলে আসছে।সেই দলাদলির সূত্র ধরে এস এম আনিসুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামে ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।মিনা হিলন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় আনিস।
এরই সূত্র ধরে (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মাছ ব্যবসায়ী হিলন চাকই বাজার হতে মাছ ক্রয় করে বাড়ি ফেরার পথে মির্জাপুর চৌরাস্তা মোড়ে আসলে তাকে পথরোধ করেন। তখন পথরোধ করার কারণ জানতে চাইলে আনিসুল তার দাবিকৃত টাকা চায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আনিসুল ইসলাম হিলনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দেন। সেই সাথে আনিসুল ইসলামের সহযোগীরা চারিপাশ দিয়ে ঘিরে হিলনকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। তখন হিলনের ডাক চিৎকারে হাসিব মিনা, মিনা ফয়সাল, জাকির হোসেন দৌঁড়ে এলে আসামিরা অবস্থা বেগতিক দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে যান।
এ বিষয়ে মোঃ মিনা হিলন বলেন, এস.এম আনিসুল ইসলাম একজন চাঁদাবাজ। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। তার এই চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য তিনি একটি লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলেছে। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাকে ওই লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করা হয়। আর এই লাঠিয়াল বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কয়েকদিন আগে বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হিমারুল গাজীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করেন। এ বিষয়েও থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল । কিন্তু কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ী আমাদের কি পুলিশ সহযোগিতা করবে? তারপরও অভিযোগ করেছি। দেখি কি হয়।
স্থানীয় আড়পাড় গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পে আনিসুল ইসলামের নামে অভিযোগ করলে পুলিশ সেটি আমলে নেয় না। ইতিপূর্বে বহু হিন্দু পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়ে বিক্ষোভ, মিছিল, মানববন্ধন করেছেন। পরিতাপের বিষয় মহান ক্ষমতা ধর প্রভাবশালী এই আনিসুল ইসলামের কিছুই হয়নি। আমরা এই গ্রামে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
অপর দিকে সাইফুর রহমান জাভেদ পিং আতাউর রহমান, সাং পূর্ব ঘনিয়া, ইউপি ফুলগাজি, থানা ফুলগাজি,জেলা ফেনি। যার বর্তমান ঠিকানা বাসা নং -০৮ রোড নং ০৯ সেক্টর ১১ থানা উত্তরা, ডিএমপি ঢাকা। তিনি নড়াইল পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার এই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, এস এম আনিসুল ইসলাম নিজেকে ঢাকা জেলা দায়রা জজ এ.এইচ.এম,হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া সাহেবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং তার অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম পরিচালনা কারী ও সেরেস্তার কর্মকর্তা পরিচয়ে তার ভাইকে ৭২ টি চেকের মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ৩ কিস্তিতে সমুদয় টাকা দেওয়ার বিষয় অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এই ব্যক্তি।
বিছালী ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় মানুষ আনিস বাহিনীর অত্যচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।