সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝাউল দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
অভিযোগে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন প্রধান শিক্ষকের কাছের মানুষ হওয়ায় ক্লাশ না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছে। গত ০৩-১০-২০২৩ তারিখে যোগদান করলেও তিনি কখনো বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেননা বলে একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান। এতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝাউল দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রীরা জানান, গিয়াস উদ্দিন স্যার ঠিক মতো ক্লাসে আসে না। এর জন্য তার ক্লাসের পড়ায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সে যদি ভালো ভাবে স্কুলে আমাদেরকে ক্লাস করাতো তা হলে আমাদের এ সমস্যা হতো না।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি রংপুরে থাকি। রংপুর থেকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এসে ক্লাস করাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলাম তাই স্কুলে আসতে পারিনি। তবে আমি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মধ্যে আসতে পারিনা। তার মানে এই নয় যে আমি স্কুল না করেই নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করি। অনিয়মিত স্কুলে আসেননি, ছুটি নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, স্যারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিক ছুটি নিয়েছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আবুল হাশেম অভিযুক্ত শিক্ষিক গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, আসলে গিয়াস উদ্দিন রংপুরে থাকেন। স্কুল থেকে রংপুর জেলা শহরের দুরত্ব বেশী হওয়ায় সে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারে না।
ঝাউল দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্কুল ফাঁকির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সে যদি নিয়মিত স্কুলে না আসে এটা তার অপরাধ। ম্যানেজিং কমিটি তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’