রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন নতুন বুধপাড়া মটমটির বিলে নিয়ে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ। দুই ধর্ষক বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান আরএমপি মিডিয়া মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো (১) মো: আবু হুরায়রা রোহান (১৮) (২) মো: মনোয়ার হোসেন মুন্না (২৭) (৩) মো: জুনায়েদ ইসলাম (২০)। রোহান রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়ার মো: মতিউর রহমানের ছেলে, মুন্না একই এলাকায় মো: মনিরুল ইসলাম ক্যানেডির ছেলে ও জুনায়েদ মো: আসাদুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার এক নারী রিকশা নিয়ে তার খালার বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমির সন্নিকটে পৌঁছালে সেখানে আসামি রোহান সেই নারীর সাথে কথা বলার নাম করে পাশেই মটমটির বিলে নিয়ে গিয়ে বলপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আসামি রোহান তার অন্যান্য সহযোগীদের সংবাদ দেয়। তারাও গিয়ে সেই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং আসামি জুনায়েদ মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে । সেখান থেকে আসামিরা রাত ৮ টায় ঐ নারীকে মতিহার থানার বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারীতে নিয়ে গিয়ে সেখানেও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ দিকে ওই নারীর পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২টায় মোবাইল ফোন খোলা পেয়ে যোগাযোগ করে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারির সামনে থেকে উদ্ধার করে। ঐ নারীর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৎসহ পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা পরবর্তীতে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: একরামুল হক, পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মতিয়ার রহমান ও তাঁর টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে ১৪ জানুয়ারি (১৩ জানুয়ারি দিবাগত) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: আবু হুরায়রা রোহান, মনোয়ার হোসেন মুন্না ও মো: জুনায়েদ ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রোহান ও জুনায়েদ এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।