আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুইটি সংসদীয় আসন। চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, টেনশন বাড়ছে বর্তমান সংসদ সদস্যদের। আওয়ামী লীগরে নৌকা প্রতীক নিয়ে এই দুটি আসন থেকে পরপর তিনবার বিজয়ী হয় উক্ত সংসদ সদস্যগণ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে এই দুটি আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন ও হাজী আলী আজগার টগর টানা তিনবার বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকার নিজ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে দলের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা আসবে না বলে ঘোষণার পরপরই সারাদেশে তিনশত সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনে অংশ নেয়ার হিড়িক পরে যায়। প্রথমে বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকেরা সহজ ভাবে নিলেও এখন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন। তিনি সরাসরি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটারদের ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদে আসতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সঠিক গণতান্ত্রিক ভাবে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি, সিআইপি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (ঈগল মার্কা) সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। বিভিন্ন মিছিল মিটিং থেকে শুরু করে পথসভায় দিলীর কুমার আগরওয়ালার পক্ষে মানুষের ঢল দেখলে সহজেই বোঝা যায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ছুটে চলেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে সাধারন ভোটারা আশাবাদী।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ও শহর ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্ট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু হাশেম রেজা ওরফে হাশেম রেজা (ট্রাক মার্কা) সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। বিভিন্ন মিছিল মিটিং থেকে শুরু করে পথসভায় উপচে পাড় মানুষের ঢল দেখলে সহজেই বোঝা যায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ছুটে চলেছে। তারা দীর্ঘদিন মাঠে থাকা স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হাশেম রেজার পক্ষে তাদের রায় দিতে পারেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে হাশেম রেজা একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে সাধারন ভোটারা আশাবাদী।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে পরপর তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বর্তমান সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে পরপর তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর তাদের নিজনিজ আসন পুনরুদ্ধারের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনী ফলাফল কিছুই বলা যাবেনা। সকলকেই অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিনের ভোট গণনার পর।