দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে মানিকগঞ্জ ১ আসনটিও রয়েছে, কিন্তু মাঠ বা তৃণমূল পর্যায়ে ঘুরে জাতীয় পার্টির তেমন একটা প্রভাব চোখে পরেনি।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এস.এম জাহিদ) ঈগল প্রতীক নিয়ে একাই নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছেন। শুধু দৌলতপুরেই নয় ঘিওর ও শিবালয় এই তিনটি থানা নিয়েই মানিকগঞ্জ ১ আসন গঠিত। প্রত্যেক থানা এলাকাতেই প্রায় একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে ।
গত ১৭ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জেলা – সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম কে নৌকা প্রতীক দিয়ে এ আসনটির টিকেট দিলেও পরে আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর হতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী পোড় খাওয়া নেতা সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এস.এম জাহিদ) এর স্বতন্ত্রের ঈগল প্রতীকের ভোটের পারসেন্টেন্স কয়েক গুন বেড়ে গিয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছে।
অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল এর লাঙ্গল প্রতীকে আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীকে ভোট চাওয়ার অবস্থায় দেখাগেছে বলে এলাকার ভোটাররা জানিয়েছেন।
২৩শে ডিসেম্বর বিকালে সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এস.এম জাহিদ) এর ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারনার জনসভায় আমতলী স্কুল মাঠে ঈগল সমর্থকদের অংশ গ্রহনে জন সমুদ্রে পরিনত হয়েছে। দুপুরের পর হতেই চরকাটারী, বাচামারা,বাঘুটিয়া, ইউনিয়ন এর সকল সমর্থক গন জনসভায় আসতে শুরু করে এবং এস.এম জাহিদ এর সাথে সফর সঙ্গী সহ দৌলতপুর সদরের সকল সমর্থক জনগণ, আমতলী মাঠে সমবেত হয়ে জনসভাটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেন।
উক্ত জনসভায় বিভিন্ন বক্তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে এস.এম জাহিদ এর ঈগল এর পক্ষে সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার আহবান যানান। এবং ভোটার গন তাদের সমস্যার কথা এবং তাদের সকল দাবি জানান। নদী শাসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন নিয়ে দাবি জানান।
প্রধান বক্তা সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এস.এম জাহিদ) তার বক্তব্যে বলেন আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন আমি নির্বাচন করবো আপনারা কান কথায় কান দিবেন না। আপনারা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে আপনার ভোট দিবেন, আপনাদের কোন ভয় নাই। তিনি আরো বলেন আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে নদী শাসন করে রাস্তা ঘাট উন্নয়ন করে দেব,আমার আসনে শিল্প কারখানায় স্থাপন করে দেব, যাতে বেকার ছেলেদের চাকরির ব্যবস্হা হয়। আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাই। আপনারা আমার সাথে আছেন, আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদ আহমেদ, সাবেক এমপি সিদ্দিকুর রহমান’র ছেলে পাপ্পু, মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আবুল বাসার সহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও চকমিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক সহ জুয়েল রানা, আতোয়ার, সহ আরো অনেকে। এছাড়াও চরকাটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইউব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক, বাচামারা ইউনিয়ন এর সাবেক চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সহ আরো অনেকে ্ বিশাল জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।