রাজশাহী জেলার বাঘায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পীরগাছা সরকারপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, বাউসা ইউনিয়নের পীরগাছা সরকারপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ দুই সন্তানের জনক। একই গ্রামের বাসিন্দা ও ভূক্তভোগি ওই নারীর দূরসম্পর্কের দেবর হওয়ার সুবাদে লম্পট তার বাড়িতে যাতায়াত করতো। আতিক একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে তেঁথুলিয়া বাজারের একটি দোকানে কর্মরত। আতিকুর রহমানের প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আতিকের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে হাতে নাতে ধরে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২ মাস আগে ফিরোজ এই গৃহবধূ কে জড়িয়ে সুমন নামের এক যুবকের নামে কুৎসা রটিয়ে মারধরের শিকার হয়। এতে তার দুটি দাঁত ভেঙ্গ যায়। পরে ফিরোজ থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় স্থানীয় শালিসে আপোষ মিমাংসায় সুমনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, ফিরোজ এলাকা জুড়ে নানা অপকর্মে জড়িত। সে চুরি ও পরোকীয়ায় লিপ্ত। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, ফিরোজ ইসলাম কে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ কে পরিক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।