দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে করা আপিলের শুনানি চলছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানির প্রথম দিনের দুপুর পর্যন্ত মোট ৫৭ জন প্রার্থীর শুনানি হয়েছে। এরমধ্যে প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন ৩৫ জন, বাতিল হয়েছে ১৮ জন এবং চারজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে হবে।
আপিলে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-২ আসনের মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার (স্বতন্ত্র), যশোর-২ আসনের এস. এম হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), জামালপুর-২ আসনের মো. জিয়াউল হক জিয়া (স্বতন্ত্র), নোয়াখালী-২ আসনের তালেবুজ্জামান (জাতীয় পার্টি), যশোর-১ আসনের মো. আক্তারুজ্জামান (জাতীয় পার্টি), কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান (আওয়ামী লীগ), গোপালগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ কবির মিয়া (স্বতন্ত্র), খুলনা-৬ আসনের মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পার্টি), চট্টগ্রাম-৮ আসনের আবদুছ সালাম (স্বতন্ত্র), বরগুনা-১ আসনের মো. খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র), খুলনা-৪ আসনের শেখ হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি), মেহেরপুর-২ আসনের মোখলেসুর রহমান (স্বতন্ত্র), রংপুর-২ আসনের বিশ্বনাথ সরকার (স্বতন্ত্র), ঢাকা-২০ আসনের মো. মিনহাজ উদ্দি (বিএসপি), ফরিদপুর-১ আসনের মাহমুদা বেগম (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-২ আসনের মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের মমতাজ সুলতানা আহমেদ (বিএনএফ), মাদারীপুর-২ আসনের ইউসুফ আলী সুমন (বিএসপি), চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), যশোর-৩ আসনের মো. মহিদুল ইসলাম (জাকের পার্টি), ঢাকা-৫ আসনের মো. কামরুল হাসান (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-১ আসনের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (স্বতন্ত্র), যশোর-৫ আসনের শেখ নুরুজ্জামান (বিএনএম), মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের মো. বাচ্ছু শেখ (বিএনএফ), যশোর-৩ আসনের মোহিত কুমার নাথ (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-২ আসনের এ.টি.এম মঞ্জুরুল ইসলাম (জাকের পার্টি), যশোর-৬ আসনের মো. আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বরিশাল-৬ আসনের মোহাম্মদ শামসুল আলম (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-৫ আসনের সাজ্জাদ হোসেন (স্বতন্ত্র), মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), কুমিল্লা-৫ আসনের এ ম তাহের (স্বতন্ত্র), বরগুনা-১ আসনের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সৈয়দ নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), গাইবান্ধা-২ আসনের শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র)।
মোননয়ন বাতিল হয়েছে টাঙ্গাইল-৫ আসনের খন্দকার আহসান হাবীব (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল ৬ আসনের সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-৬ আসনের কাজী এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), জামালপুর-২ আসনের মো. আব্দুল হালিম মন্ডল (জাকের পার্টি), নেত্রকোণা ১ আসনের মো. ছমীর উদ্দিন (জাকের পার্টি), মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সোহানা তাহমিনা (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-৪ আসনের মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-১০ আসনের মোহাম্মদ আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), খুলনা-৪ আসনের এস. এম. মোর্ত্তজা রশিদী দারা (স্বতন্ত্র), যশোর-৬ আসনের হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম (স্বতন্ত্র), রংপুর-২ আসনের মো. জিল্লুর রহমান (বিএনএফ), যশোর-৫ আসনের মো. হাবিবুর রহমান (জাকের পার্টি), চট্টগ্রাম-৫ আসনের মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-৫ আসনের স্বপন কুমার সরকার (স্বতন্ত্র), নেত্রকোনা-২ আসনের সুব্রত চন্দ্র সরকার (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৭ আসনের মো. আসাফুদ্দৌলা (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৭ আসনের জুলফিকার আলী (স্বতন্ত্র) ও বগুড়া-৭ আসনের মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিলু (স্বতন্ত্র)।
সিদ্ধান্ত হয়নি কক্সবাজার-১ আসনের সালাহ উদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), সিলেট-২ আসনের মো. আব্দুর রব (তৃণমূল বিএনপি), ঢাকা-১২ আসনের খোরশেদ আলম খুশু (জাতীয় পার্টি) ও কুষ্টিয়া-১ আসনের মহা. ফিরোজ আল মামুনের (স্বতন্ত্র)।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৪৭ স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে ৫৬১ জন প্রার্থী আপিল করেন। আপিল শুনানি চলছে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।