পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো থ্যাংকস লেটারটি (চিঠি) গণমাধ্যমে ছাপা উচিত হয়নি। জাতিসংঘ সফর শেষে প্রতি বছরই এ ধরনের চিঠি দেয়া হয়। এটা একান্তই ব্যক্তিগত, কিভাবে তা গণমাধ্যমে ছাপা হয় বোধগম্য নয়। যারা ছাপছে তারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেটে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে গিয়েছিলাম সেপ্টেম্বর মাসে, সেই সময় অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ হয়। আমাদের একটি রেওয়াজ আছে যাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়, দেখা-সাক্ষাৎ হয় তাদের একটি ধন্যবাদপত্র দেওয়ার। এবারো সেটাই হয়েছে। ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেসব কথাবার্তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল। যা একান্ত ব্যক্তিগত চিঠি। এটা খামাখা একটি পত্রিকা ছেপে দিয়েছে। এটা বড় লজ্জার বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জানি না এটা কিভাবে হলো, দেশে কিছু লোক আছে যারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে। বাহবা পাওয়ার জন্য যা পাচ্ছে তাই গণমাধ্যমে নিয়ে আসছে। এটা হওয়া উচিত নয়। এটা খুব দু:খজনক।
পোশাক খাতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব খামাখা। এমন কোনো তথ্য নেই। কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে এসব কথা বলে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব যারা করছে তারা তাদের প্রভুদের খুশি করতে গাজার মানবিক বিপর্যয়, হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কথা বলছে না। এরা মানুষ নয় অমানুষ। তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। তাদের জনসমর্থন নেই। তারা জনগণের জন্য কোনোদিন আন্দোলন করেনি।