ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে আকাশে কালো মেঘ নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। তবে সেদিন খেলা হয়েছে প্রায় পুরো দিনই। শেষ বিকেলে এসে আলোক স্বল্পতায় কয়েক ওভার কম খেলা হলেও বৃষ্টি হানা দেয়নি। তবে দ্বিতীয় দিনে এসে মিরপুরে খেলেছে শুধুই বৃষ্টি, নীরব দর্শক ছিলেন ক্রিকেটাররা!
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি, কখনো তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি ছিল মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায়। বৃষ্টি বাধায় শেষ পর্যন্ত এক বলও মাঠে গড়াতে পারেনি দ্বিতীয় দিনের খেলা। এজন্য দিনের খেলা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা।
আগের দিন আলোকস্বল্পতার কারণে বাদ পড়া ওভার পুষিয়ে নিতে আজ কিছুটা আগেভাগেই খেলা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এই ধারা অব্যাহত আছে আজ সকাল থেকেই। একবারের জন্যও মিরপুরের উইকেট থেকে কাভার সরানো যায়নি।
সকাল থেকে বেশ কয়েকবার মাঠ পরিদর্শন করেছেন আম্পায়াররা। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। ঘণ্টা কয়েকের অপেক্ষা শেষে দুপুর দুইটার দিকে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন ম্যাচ অফিশিয়ালসরা।
এদিকে আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ ঢাকাসহ দেশের ১৭টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবেই এমন বৃষ্টি বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই আগামীকাল শুক্রবারও মিরপুরে বৃষ্টি থাকতে পারে। দুপুর নাগাদ মিরপুরে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই আগামীকাল মাঠে খেলা গড়ানো নিয়েও শঙ্কা থাকছে।
এর আগে, ঢাকা টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া টাইগাররা বল হাতে দাপট দেখায়। অল্প পুঁজি নিয়ে মিরপুরে স্পিন দিয়ে পাল্টা আক্রমণ স্বাগতিকদের। মিরাজ-তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ে কিউই ব্যাটাররা।
আলো স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন নির্ধারিত সময়ের ১১ ওভার আগেই শেষ হয় খেলা। দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান। মিরাজ ৩টি ও তাইজুল পেয়েছেন দুই উইকেট। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও সফরকারীরা ১১৭ রানে পিছিয়ে আছে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের ৯টিই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন কিউই তিন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস ও এজাজ প্যাটেল। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত পতন হওয়া সফরকারীদের পাঁচটি উইকেটও পেয়েছেন টাইগার স্পিনাররা।