চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে ৭ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা। এসময় শহীদদের সম্মানে সেলুট প্রদান করা হয় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা স্যারের নেতৃত্বে।
বাঙালির ইতিহাসে গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা সংগ্রাম যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীর অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ভারত সীমান্তবর্তী এ চুয়াডাঙ্গার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় এখানে। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন রেডক্রস বর্তমান রেডক্রিসেন্ট। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বপ্রথম ২০৪ জন মুজাহিদ ও আনসারকে একত্রিত করা হয়। ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌছুলে ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীরা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।
উক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ডিআইও-১, ডিএসবি; মাহাব্বুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, সদর থানা; ওলিউজ্জামান, টিআই প্রশাসন, ট্রাফিক বিভাগ; কে এম জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ অফিস (ক্রাইম সেকশন); জনাব হোসেন আল মাহাবুব, ইনচার্জ, সদর পুলিশ ফাঁড়ী; মোঃ আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, চুয়াডাঙ্গাসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ফোর্সবৃন্দ।