হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যশোর জেলা যুবদল নেতা আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) মো. আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খান আমিনুরের সুচিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এ রিটটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। রিটের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর, আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ সময়ও তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।