1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের সময়ে আওয়ামী লীগ বধ্যভূমি তৈরি করেছিল: টুকু সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন নিজের চেহারা একবার আয়না দিয়ে দেখুন: মৌলভীবাজারে জামায়াতের আমীর শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণ মামলায় আটক ২ তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতারণায় প্রথম স্ত্রী নিঃস্ব সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ রাজশাহীতে হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক- ৮ সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সভা মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক 

ভালোবাসার টানে সাইপ্রাসের তরুণী আশুলিয়ায়

মো: মনির হুসাইন, সাভার প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

কয়েক হাজার মাইলের দুই দেশের দূরত্ব যেন ভালোবাসার টানে এক হলো। সূদুর ইউরোপ থেকে ৫ বছরের প্রণয়কে বিয়েতে রূপ দিতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এক তরুণী। সাতসমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আশুলিয়ার যুবক শামীম আহমেদের সঙ্গে। এরই মধ্যে শ্বশুড়বাড়ি, আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশীদের মন জয় করে নিয়েছেন ভিনদেশী এই নারী। পরদেশী এলাকার বউ পেয়ে দারুণ খুশি শামীমের পরিবারও।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সাভারে আশুলিয়ার গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শামীমের স্ত্রীকে ঘিরে চলছে উৎসব। আত্মীয়স্বজন আর পাড়াপ্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন ভীনদেশী বউকে একবার দেখতে। সাইপ্রাসের নাগরিক আন্থি তেলেবান্থু যেন সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।

গত ২৭ নভেম্বর আশুলিয়ায় শামীমের বাড়িতে ছুটে আসেন সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্থু। ৩০ নভেম্বর ঢাকা জজকোর্টে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিয়ে করেন আন্থি ও শামীম।

আন্থির সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রণয়ের বিষয়ে শামীম আহমেদ বলেন, স্টুন্ডেন্ট ভিসায় ২০১৫ সালে আমি সাইপ্রাস চলে যাই। সেখানে সিডিএ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেই। একই প্রতিষ্ঠানে কাজের সুবাদে আন্থির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একসময় আমরা দুইজনকে পছন্দ করা শুরু করি। পরে তা প্রণয়ে রূপ নেয়। সাইপ্রাসের লিমাসোল শহরে আন্থির বাসায় আমার যাওয়া-আসা শুরু হয়। ওর পরিবারের সঙ্গেও আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে আমি দেশে ফিরে আসি। তারপরও আন্থি এবং আমার মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হতো। আমার পরিবারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতো। অনেক আগে থেকেই সে বাংলাদেশে আমার বাড়িতে আসার জন্য উদগ্রীব থাকতো। এরপর গত ২৭ নভেম্বর সে বাংলাদেশে চলে আসে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা দুজন গতকাল ঢাকা জজকোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।

শামীম আরও বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে আন্থি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। আটদশটা বাঙ্গালী বউদের মতোই সবার সঙ্গে মিশতেছে। তার কথায় বাঙ্গালী বউ হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবাইকে মাতিয়ে রাখছে সে।

সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্থু বলেন, আমরা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি। তারপর বন্ধু হয়েছি এবং আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে একজন ভালো চরিত্রের মানুষ হিসেবেই জানি। সে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে পছন্দ করে। এসব থেকেই আস্তে আস্তে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার পরিবার শামীমকে অনেক পছন্দ করে। তারাও আমাদের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে। আমি বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ।

শামীমের চাচা ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদেশী মেয়ে হলেও ওর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে যখনই সে আমার সামনে আসছে ঘোমটা পরে আসছে, বাঙ্গালি মেয়েদের মতো। সে আমাদের মতোই শাকসবজি, তরকারি খাচ্ছে। আমার পূত্রবধূকে নিয়ে কোনো সমস্যা পরিবারে নাই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel