শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর মোড়ল কান্দি প্রাইমারী স্কুলের পার ঘেসে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসা। প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে।
এতে ওই এলাকায় গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকে নগর ইউপি চেয়ারম্যানের হুকুমে ড্রেজার ব্যবসায়ী রাজিব শিকদার নদীর মাঝে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন তারা বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
মোড়ল কান্দির গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবাদি জমির মাটি কাটা হচ্ছে।
এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামের শতাধিক মানুষ প্রশাসনকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট,রেইল লাইন মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি।
অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে বিকে নগর মোড়লকান্দি প্রাইমারী স্কুলে থেকে ৫০ গজ দূরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী রাজিব শিকদার বলেন, আমি ড্রেজার ব্যবসা করি মেশিন চালাইতে পারলে আমার লাভ আছে না চালাইতে পারলে নাই। আমি চেয়ারম্যান এর হুকুমে ড্রেজার চালাচ্ছি।আপনাদের কিছু জানার থাকলে তারে জিগান।
বিষয়টি নিয়ে বিকেনগর নগর ইউপি চেয়ারম্যান এসকান্দার আলী ভূঁইয়া বলেন,ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জেনেছি। তবে আমি বলেছিলাম অনুমতি এনে দিলে তোমরা বালু উত্তোলন কইরো। আমি অনুমতি এনে দিতে পারিনি। বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগিরই উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....