নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবাকে (৪১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জেলার পোরশা উপজেলার পোরশা গ্রামের গেনা হুজুরের বাড়ি হতে মেয়েকে নিয়ে তার বাবা নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে গণেশপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে নূর হোসেনের আমের নার্সারী বাগানে জনশূন্য এলাকায় বাবা জোরপূর্বক তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে এ ঘটনা বললে তার মা পোরশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৯ মে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। যা চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়। গত মঙ্গলবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
আজ নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে ধর্ষণের শিকার মেয়ের বাবাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আসামি এজলাস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আসামিপক্ষ উচ্চআদালতে আপিল করবেন বলে জানায়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি কৌসুলি মকবুল হোসেন এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী শুভ্র সাহা মামলা পরিচালনা করেন।